Thursday, January 28, 2021

Novelty in Cruelty



Did you read the news today?

There's novelty in cruelty!

Yes, you may find it extraordinary,

But it is no longer imaginary. 


A brand new way of bursting bubbles has been revealed,

and plethora of cruel women have adapted it already.

It's smoother than acupuncture;

and it makes the heart flatter than a punctured tire.


It only takes a second,

And it is delivered in kindness. 

But the effect is not kind!

'Cause there's no balloon at the receiver's end;

Nor is it someone's prickly skin.


It's mind; the fragile, wax-like squishy mind! 

And I do mind,

when someone delivers it, 

Injects that new kind of cruelty 

In jest. 


Needless to say

Someone's idea of jest

Could be hard for another to ingest. 

Tuesday, January 26, 2021

দেরী

 [এটি একটি জীবনের priority আবিষ্কার মূলক গল্প। এটি লিখেছিলাম ২০১৮ সালে, কিন্তু কোন এক কারণে নিজের প্রোফাইলে শেয়ার করা হয়নি। আজকে পুরনো লেখার পরিমার্জিত সংস্করণটি পোস্ট করলাম।


এখানে আগাথা ক্রিস্টির ভুতের গল্পের প্রভাব, নিজের দীর্ঘ কর্পোরেট চাকুরী জীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা এবং পরিশেষে, কল্পনা শক্তির প্রভাব রয়েছে। গল্পটি দীর্ঘ, ভূমিকাও ছোট না। আশা করে পড়ে ভাল লাগবে সবার]।

"দেরী"




রহমান সাহেব কাজ করছেন। নিবিড় মনে। অফিসে উনার সমসাময়িক প্রায় সবাই ল্যাপটপ পেলেও উনি এখনো কাজ করেন পুরনো ডেস্কটপ পিসিতে।

অফিসের জ্যেষ্ঠতম নয় বলে শুধু, অনেক সততা এবং কর্মদক্ষতার কারণেই সবার শ্রদ্ধার পাত্র উনি। সকালে সবার আগে আসেন অফিসে, বের হন সবার শেষে। সব মিলিয়ে প্রায় ১২ ঘন্টার মত অফিস করেন উনি।

বহুজাতিক এই প্রতিষ্ঠান সপ্তাহে দু'দিন বন্ধ থাকলেও প্রায় শনিবারেই উনি হাজির হয়ে যান পরের সপ্তাহের কাজ এগিয়ে রাখার জন্য। বস্তুতঃ পুরো এক সপ্তাহের ৭২ ঘন্টাই তার অফিসে কাটে।

লাঞ্চটা টিফিন কেরিয়ারে করে দিয়ে যায় "মায়ের হাতের খাবার" নামের ক্যাটারিং সার্ভিস থেকে। খাবার আসে ঠিক দুপুর ১ টায় এবং উনি ১৫ মিনিটে খাওয়া শেষ করে নামাজে দাড়ান। নামাজ সেরেই আবার কম্পিউটার এর সামনে বসে যান, আর শুরু হয় কিবোর্ডের খটাস খটাস আর মাউস এর ক্লিক ক্লিক শব্দ। এক্সেল ফাইলে প্রবেশ করান হাজার হাজার সংখ্যা আর হতে থাকে কোটি কোটি টাকার হিসাব।

প্রায় ৩০ বছর ধরে তিনি এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন, কেউ কোনদিন এই রুটিনের ব্যতিক্রম দেখেনি। শুধু একবার এক ডেলিভারী বয় অফিসে খাবার নিয়ে আসার পথে গাড়ী চাপা পড়েছিল দেখে সেদিনের খাবার আসেনি। রহমান সাহেব অগ্নি মূর্তির মত কিছুক্ষন ঘড়ির দিকে চেয়ে থেকে আবার কাজে ফিরে যান। পরের সপ্তাহ থেকে নতুন একটি ক্যাটারিং সার্ভিস থেকে খাবার আসা শুরু করে।

সেদিন ছিল খুব ঝামেলাপূর্ণ একটি দিন। সকাল থেকেই একটি হিসেব মেলানোর চেষ্টা করছিলেন রহমান সাহেন। প্রায় ২০ লাখ টাকার হিসেবে গড়মিল। দেখা যাচ্ছে, এমডির সাক্ষরের মাধ্যমেই এই টাকাটা তোলা হয়েছে, কিন্তু সেটার স্বপক্ষে প্রমাণ স্বরুপ ওয়ার্ক অর্ডারটি কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এবং মজার ব্যাপার হচ্ছে এমডির কাছে যাওয়ার আগে উনার নিজের হাত ধরেই যায় এই নির্দেশগুলো। তিনি সিস্টেমে দেখলেন যে তার এপ্রুভাল এর পরেই টাকাটা উত্তোলিত হয়েছে, কিন্তু সেটার নিয়মতান্ত্রিক কোন রেকর্ড নেই।

হঠাত ডেস্ক ফোনে কল এল। রিসিভ করেই এমডি জাহাংগীর সাহেব এর বাজখাই কন্ঠ শুনতে পেলেন তিনিঃ
"রহমান সাহেব, জলদী আমার রুমে আসেন"।

তারপরের ঘটনা আর স্পষ্ট মনে নেই। বয়সে ছোট হয়েও বস হয়ে যাওয়া জাহাংগীর সাহেব এর কাছে যখন মুহুর্মুহু বকা ও অভিসম্পাত শুনতে থাকলেন, তখন তার মনে হল চারপাশের দেয়াল থেকে পাথর খসে খসে পড়ছে মাথায়।

একটা সময়ের পর আর কিছু শুনতে পেলেন না তিনি। আনমোনা হয়ে অপেক্ষা করতে লাগলেন কখন শেষ হবে এই অত্যাচার। হঠাত টের পেলেন তার ঘাড় ধরে ঝাকাচ্ছেন এমডি সাহেব।

"শুনেন, আপনি পুরনো কর্মচারী। লোকাল কোম্পানীতে কাজ নিয়েছিলেন, তখন কেউ এত খুঁটিনাটি হিসাব করতো না। কিন্তু বহুজাতিক হবার পর এখন আর আপনার মত ট্র্যাডিশনাল এমপ্লয়িদের উপর ভরসা করা যায় না। তাও আমরা আপনার উপর আস্থা রেখেছি আগের দিনের কথা ভেবে। সামান্য কয়টা টাকার জন্য আপনি এরকম করবেন, এটা কষ্মিনকালেও ভাবিনি! আপনি হয় হিসেবটা মিলিয়ে দেন, অথবা টাকাগুলো ফেরত দিয়ে যান। আমার হাতে হাতে দিবেন, কেউ জানবে না কিছু। আপনি আপনার চাকরীও রক্ষা করতে পারবেন, সম্মানও অটুট থাকবে। আর যদি মনে করেন টাকা ফিরিয়ে দিতে পারবেন না, তাহলে আর রবিবার থেকে আসার দরকার নেই অফিসে। আমরা বিভাগীয় তদন্ত করে আপনাকে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব"।

বাকিটা সন্ধ্যা কাটলো ঘোরের মধ্যে। রহমান সাহেব নিজের ডেস্কে এসে মাথায় হাত দিয়ে বসে রইলেন। সেদিন ছিল সপ্তাহের শেষ দিন। একে একে কর্মচারীরা সবাই বিদায় নিল। ততক্ষণে অফিসে সবাই জেনে গিয়েছে কাহিনী। যাওয়ার পথে অনেকেই উনার দিকে কটাক্ষমূলক দৃষ্টিতে তাকালেন, চল্লো কানাঘুষা, আর অল্প দুই একজন, যারা পুরনো কর্মী, তারা উনার দিকে কিঞ্চিত করুণার দৃষ্টিতেও তাকালেন।

এক পর্যায়ে রহমান সাহেবের মনে হল উনি পারবেন। চালু করলেন আবার কম্পিউটার। এক ফাইল থেকে আরেক ফাইলে উড়ে যেতে লাগলেন তিনি। উনার দৃঢ় বিশ্বাস, কোথাও কোন ভুল হয়েছে। নাওয়া খাওয়া ভুলে কাজ করতে লাগলেন। চারপাশে নিভে যেতে লাগলো এক এক করে বাতি, উনার হুশ নেই।

"ইউরেকা! পেয়েছি এবার!"

ফাইল সার্ভারের এক কোণায় পড়ে থাকা একটি গোপন ফাইল খুঁজে পেলেন রহমান সাহেব। খুলতে গিয়ে দেখলেন পাসওয়ার্ড দেয়া। "iamtheboss" টাইপ করতেই খুলে গেল ফাইলটি। পড়তে পড়তে রহমান সাহেব এর মুখে ফুটে উঠলো অনাবিল হাসি।

"পেয়েছি এবার বেটাকে! আমার সাথে মামদোবাজি! এই জিনিস হেডকোয়ার্টারে পাঠালে তো তোরই চাকরী থাকবে না। অতি উৎসাহের সাথে প্রিন্ট দিলেন উনি ফাইলটির গুরুত্ত্বপূর্ণ অংশগুলোর। উদ্দেশ্য, প্রিন্ট আউটে চোখ বুলিয়ে আরেকবার নিশ্চিত হওয়া।

সব ঠিকঠাক থাকলে রাতেই উনি এই ফাইলগুলো রিজিওনাল হেড কে পাঠিয়ে দিবেন। বসকে সিসি তে রাখবেন কি না ভাবতে ভাবতে এগুলেন প্রিন্টার এর দিকে।

প্রিন্টারটা রুমের একদম শেষ মাথায়। হেটে যেতে যেতে খেয়াল করলেন পুরো অফিস গমগম করছে মানুষে। কাউকেই কেন জানি চিনতে পারলেন না। বুঝে পেলেন না কোন দিক দিয়ে সকাল হয়েছে।

কিন্তু...শুক্রবারে তো অফিসে এত লোক থাকে না। কেউ তাকে লক্ষ্যও করছে না। এ তো খুবই অবাক ব্যাপার!

যেখানে প্রিন্টার থাকার কথা, সেখানে গিয়ে আবিষ্কার করলেন একটি উচু টেবিল রাখা, আর তার উপর প্রিন্টারের পরিবর্তে একটি কালো রঙের অচেনা মেশিন রাখা। সেখান থেকে প্লাস্টিকের কাপে ঢেলে ঢেলে কি জানি পান করছে ৩-৪ জন। উনি তাদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করলেন।

রহমান সাহেব বলে উঠলেনঃ

"এই যে ভাই, প্রিন্টারটা কোথায় সরিয়েছে বলেন তো? আমি খুব জরুরী কিছু ডকুমেন্ট প্রিন্ট দিয়েছি!"

কেউ তার কথা শুনতে পেল না। এবার প্রথম বারের মত তিনি উদ্বিগ্ন হলেন। সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে ফিরে গেলেন নিজের ডেস্কে। চেয়ারে বসতে গিয়ে হোচট খেলেন।

উনার ডেস্কটির চারপাশে কর্ডন দেয়া। এক ফাঁক দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখলেন উনার সেই চিরপরিচিত চেয়ারটি রয়েছে, এবং পিসিটিও রয়েছে অক্ষত। পাশে একটি ছোট কাগজে অনেক কিছু লেখা। উনার নেম প্লেট টিও আছে অক্ষত "এম এম রহমান, সিনিয়ার একাউন্টস অফিসার"। দড়ির নিচ দিয়ে ভেতরে গেলেন তিনি।

কাগজে লেখাঃ

"এম এম রহমান (জন্ম ২১/২/১৯৬২, মৃত্যু ১/৬/২০১৮)"

রহমান সাহেব ছিলেন একবিংশ শতাব্দীতে এই কোম্পানীর একমাত্র, এবং সর্বশেষ ডেস্কটপ কম্পিউটার ব্যবহারকারী। আমাদের অত্যন্ত সৎ এবং নিষ্ঠাবান, চিরকুমার এই মিষ্টভাষী কলিগটি কাজ করতে করতেই, নিজ ডেস্কে বসা অবস্থায় মৃত্যমুখে পতিত হন। রবিবার সকালে এসে সহকর্মীরা তাকে মৃত অবস্থায় আবিষ্কার করে অফিসে।

ডাক্তারী পরীক্ষায় জানা যায় যে অতিরিক্ত কাজের চাপজনিত টেনশান থেকে উনার স্ট্রোক হয়, এবং তাতেই উনি মারা যান।

উনি মারা যাওয়ার পর বহুদিন পর্যন্ত এই ডেস্কে কেউ কাজ করতে পারেনি। সবাই বলতো তারা কিবোর্ড এর খটাশ খটাশ শব্দ শুনতে পাচ্ছিল সারাক্ষণ, আর কেউ কেউ প্রিন্ট হওয়া কিছু কাগজও দেখতে পায় ডেস্কের উপর ছড়ানো, কিন্তু কাগজ ধরতে গেলেই সেগুলো উধাও হয়ে যেত।

আমরা একটি প্রগতিশীল বহুজাতিক সংগঠন হিসেবে আদিভৌতিক কোন ব্যাপার কে অবশ্যই প্রমোট করতে চাই না, তবে রহমান সাহেবের প্রতি সম্মান প্রদর্শন পূর্বক এবং তাকে নিয়ে চালু ভুতের গল্প গুলোকে অফিসের চিত্তাকর্ষক ঘটনা হিসেবে চিরস্থায়ী করার জন্য উনার ওয়ার্কস্পেস কে যাদুঘর এর মর্যাদা দেয়া হল।"

রহমান সাহেব এর পুরো দুনিয়া টলে উঠলো। লেখাগুলো আবার পড়লেন উনি। কোন রহমান এইটা? কি কাহিনী? একই নামে আরেকজন? আমি কি ভুল অফিসে চলে এসেছি?

এরকম আকাশ পাতাল ভাবতে ভাবতে হঠাত তার চোখ গেল ক্যালেন্ডারের পাতায়। সেদিনের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০৩০।

১২ বছর লাগলো বস এর চুরি ধরতে? একটু বেশিই দেরী হয়ে গেল মনে হয়।

মাথায় হাত দিয়ে মাটিতে বসে পড়লেন রহমান সাহেব। শরীরে কোন বোধ নেই।

(ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে লাগলো U2 band এর Stuck In a Moment গানটি। আস্তে আস্তে লিরিক্স শুনা যাচ্ছেঃ

You've got to get yourself together
You've got stuck in a moment
And now you can't get out of it
Don't say that later will be better
Now you're stuck in a moment
And you can't get out of it)

রহমান সাহেব এর মনে পড়ে গেল সব। উনার নিথর দেহ নিয়ে মর্গের ডাক্তার দের টানাটানি, নির্মম ছুরি প্রয়োগ, কবরে নামিয়ে দেয়ার সময়ের দুঃসহ স্মৃতি, লাশের চা এর কটু গন্ধ। মোনাজাত এর সময় বস এর মেকি কান্না, কয়েকজন কলিগের সত্যিকারের অশ্রু, আর তেমন কিছু না।
সারা জীবন কাজের পেছনে ছুটে গেলেন, কি পেলেন জীবনে? একটি মুহুর্তের মাঝেই আটকে রইলো জীবন টা।

#ishtiaq_radical

ছবিঃ গুগল।

A Seasonal Dream

A Seasonal Dream


Suddenly a brilliant white light shines above,
A gusty wind cools the burning soul,
A fragrant smell of turmeric, is it?
Nowhere is here, no time is now!
I'm convinced it's heaven here, as there's hell outside.
When your hair is closer,
And your crazy energetic persona is within inches;
It never fails to soften this restless soul .
I look up, and see there really is no light
Is it just my imagination, or a nightly fright?
They said "all I have to do is dream"
But all doors and windows are closed,
No chance of a wind to intrude;
Nor can a light other than the bulb can shine.
But it's alright;
It's a dream and you're mine.

25/01/2021
Photo: Google

Thursday, January 21, 2021

সবচেয়ে বড় বিপদ ভাইরাস নিজে নয়'

 

ইউভাল নোয়া হারারি
ইউভাল নোয়া হারারি

[ইউভাল নোয়া হারারি হচ্ছেন 'স্যাপিয়েন্স: আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব হিউম্যানকাইন্ড, হোমো দিউস' এবং 'টোয়েন্টি ওয়ান লেসনস ফর দ্য টোয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি' বইয়ের লেখক।]

একটি সংকট একটি সমাজের জন্য ক্রান্তিকাল হয়ে দাঁড়াতে পারে। কোন পথে যাব এবার আমরা? অধ্যাপক ইউভাল নোয়া হারারি সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ব্যাখা করেছেন কীভাবে কোভিড-১৯ নিয়ে আমাদের আজকের সিদ্ধান্তগুলো ভবিষ্যৎকে প্রভাবিত করবে।

প্রফেসর হারারি, আমরা একটি বিশ্বব্যাপী সংকটের মাঝে রয়েছি। আপনার দৃষ্টিতে এই বৈশ্বিক পরিবর্তনের কোন অংশটি সবচেয়ে বেশি চিন্তা উদ্রেককারী?

ইউভাল নোয়া হারারি: আমার ধারণা, সবচেয়ে বড় বিপদটি ভাইরাস নিজে নয়। মানবজাতির কাছে এই ভাইরাসকে পরাস্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় সব বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ও প্রযুক্তি রয়েছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলো হচ্ছে আমাদের নিজেদের ভেতরের অন্তর্দ্বন্দ্ব, নিজেদের মাঝে লালিত ঘৃণা, লোভ ও অজ্ঞানতা। পরিতাপের সঙ্গে বলছি যে মানুষ এই সংকটে বৈশ্বিক একাত্মতা প্রকাশ না করে বরং ঘৃণা প্রকাশ করছে, এবং অন্যান্য দেশ ও ধর্ম-আচারভিত্তিক সংখ্যালঘুদের দোষারোপ করছে।

কিন্তু আমি আশাবাদী যে আমরা ঘৃণার পরিবর্তে পারস্পরিক সহানুভূতি গড়ে তুলতে পারব, যার মাধ্যমে আমরা বৈশ্বিক সংহতি তৈরি করে ঔদার্যের সঙ্গে বিপদগ্রস্থ মানুষকে সাহায্য করার সক্ষমতা অর্জন করব। এ ছাড়া এটাও গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা যেন সত্যকে মিথ্যা থেকে আলাদা করা, এবং সব ষড়যন্ত্রতত্ত্ব বিশ্বাস না করার ক্ষমতাও অর্জন করতে পারি। আমরা এই কাজগুলো করতে পারলে আমি নিঃসন্দেহে বলতে পারি যে এই সংকট কাটিয়ে ওঠা খুবই সহজ হবে।

আপনার ভাষ্যমতে, আমরা সর্বগ্রাসী নজরদারি এবং নাগরিক ক্ষমতায়নের মাঝে একটিকে বেছে নেওয়ার দ্বিধায় ভুগি। আমরা যদি সতর্ক না হই, তাহলে এই মহামারি পরিস্থিতিটি হয়ে উঠতে পারে সরকারি নজরদারির ইতিহাসে একটি সন্ধিক্ষণ। কিন্তু কীভাবে আমি এমন কিছু নিয়ে সাবধান হব, যা আমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে?

এটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে নয়, অন্তত গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে। আপনি সুনির্দিষ্ট কিছু রাজনীতিবিদ এবং দলকে ভোট দিয়ে থাকেন, যারা এই নীতিমালাগুলো প্রণয়ন করে থাকে। সুতরাং রাজনৈতিক ব্যবস্থার ওপর আপনার কিছু পরিমাণে নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। এই মুহূর্তে কোনো নির্বাচন আসন্ন না হলেও রাজনীতিবিদগণ জনগণের চাহিদাগুলোকে আমলে নিতে বাধ্য।

যদি সাধারণ জনগণ এই মহামারির ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে প্রত্যাশা করে যে একজন শক্তিশালী নেতা দায়িত্ব বুঝে নেবেন, তাহলে একনায়কদের জন্য সহসা ক্ষমতা দখলের কাজটা অনেক সহজ হয়ে যায়। অন্যদিকে যদি একজন রাজনীতিবিদ সীমা ছাড়িয়ে যান, তাহলে জনগণ বিরূপ প্রতিক্রিয়া প্রদর্শনের মাধ্যমে এ ধরনের অঘটনকে প্রতিহত করতে পারে।

তাহলে আমি কীভাবে জানব, কাকে অথবা কোন তথ্যগুলোর ওপর ভরসা রাখা যাবে?

প্রথমত, আপনার রয়েছে পূর্ব অভিজ্ঞতা। রাজনীতিবিদেরা যদি এ রকম হয় যে তারা বছরের পর বছর আপনাদের সঙ্গে মিথ্যাচার করে আসছে, তাহলে এই সংকটের মুহূর্তে তাদের ওপর ভরসা রাখার তেমন কোনো কারণ নেই। দ্বিতীয়ত, আপনাকে মানুষ যেসব তত্ত্বের কথা বলছে, সেগুলোর ব্যাপারে আপনি প্রশ্ন তুলতে পারেন। যদি আপনাকে কেউ করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল এবং বিস্তার নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্রমূলক তত্ত্ব শোনাতে আসে, তাহলে তাকে ভাইরাস কী এবং তা কীভাবে রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটায়, সেটা জিজ্ঞাসা করবেন? যদি সে কিছুই বলতে না পারে, তাহলে বুঝতে পারবেন যে তার প্রাথমিক বৈজ্ঞানিক জ্ঞানটিও নেই, এবং সে ক্ষেত্রে এই ব্যক্তি করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ে আপনাকে যা-ই বলুক না কেন, তা বিশ্বাস করবেন না। এসব বোঝার জন্য আপনার জীববিজ্ঞানে পিএইচডির দরকার নেই, শুধু কিছু প্রাথমিক পর্যায়ের বৈজ্ঞানিক বোধশক্তি থাকলেই চলবে।

সাম্প্রতিক কালে আমরা কিছু মানবতাবাদী রাজনীতিবিদদের দেখছি বিজ্ঞানের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে; তাঁরা বলছেন যে বিজ্ঞানীরা নিভৃতচারী, অভিজাত এবং বিচ্ছিন্ন একটি জনগোষ্ঠী, তাঁরা সাধারণ মানুষের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলেন। এই রাজনীতিবিদেরা সঙ্গে এটাও বলছেন যে জলবায়ু পরিবর্তন একটি ভাঁওতা, এবং আপনাদের উচিত হবে না বিজ্ঞানীদের কথাকে বিশ্বাস করা। কিন্তু এই সংকটের মুহূর্তে আমরা দেখছি, বিশ্বজুড়ে মানুষ অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে বিজ্ঞানের ওপরই বেশি ভরসা রাখছে।

আমি আশা করব যে এই ব্যাপারগুলো আমরা সর্বদাই মনে রাখব, এমনকি এই সংকট থেকে উত্তরণের পরও। আমাদের উচিত হবে স্কুলের ছাত্রদের ভাইরাস ও তাদের বিবর্তনের তত্ত্বগুলো যত্ন সহকারে ও বিশদভাবে শিখিয়ে দেওয়া। এ ছাড়া যখন বিজ্ঞানীরা আমাদের মহামারি ছাড়াও অন্যান্য বিষয়, যেমন জলবায়ু পরিবর্তন কিংবা বিবিধ পরিবেশগত বিপর্যয়ের ব্যাপারে সতর্ক করবেন, সেই সতর্কবাণীকেও যেন আমরা করোনাভাইরাস মহামারির মতোই গুরুত্ব সহকারে আমলে নেই।

বিভিন্ন দেশে ডিজিটাল নজরদারির ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে ভাইরাসের বিস্তার রোধ করার জন্য। কীভাবে এই প্রযুক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়?

যখনই আপনি জনগণের ওপর নজরদারি বাড়াবেন, সঙ্গে সঙ্গে সরকারের ওপরও একইভাবে নজরদারি বাড়াতে হবে। এই সংকটের মুহূর্তে বিভিন্ন দেশের সরকারগুলো পানির মতো টাকা খরচ করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দুই ট্রিলিয়ন ডলার এবং জার্মানিতে হাজার হাজার বিলিয়ন ইউরো খরচ হয়েছে, এবং অন্যরাও পিছিয়ে নেই। আমি একজন নাগরিক হিসেবে জানতে চাই, কারা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কোন খাতে কত টাকা ব্যয় হবে? এই টাকার মাধ্যমে কি বড় বড় করপোরেশনগুলোকে প্রণোদনার মাধ্যমে উদ্ধার করা হচ্ছে, যারা প্রকৃতপক্ষে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটার আগে থেকেই তাদের ব্যবস্থাপকদের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে অর্থনৈতিক সংকটে ছিল? নাকি এই টাকা দিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসা, রেস্তোরাঁ ও ছোট ছোট দোকানগুলো এবং অনুরূপ প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাহায্য করা হচ্ছে?

যদি কোনো সরকার নজরদারি বাড়ানোর ব্যাপারে দৃঢ়সংকল্প হয়ে থাকে, তাহলে উভয় পক্ষেই তা কার্যকর করতে হবে। যদি সরকার বলে, 'অসম্ভব, আমরা চাইলেও সব অর্থনৈতিক লেনদেনের হিসাব সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিতে পারব না। এতে জটিলতা অনেক বেড়ে যাবে', তখন আপনারা বলবেন, 'না, এটা মোটেও জটিল নয়। যেভাবে এ রকম সর্বগ্রাসী নজরদারির ব্যবস্থা করছেন, যাতে আপনারা জানতে পারেন প্রতিদিন আমি কোথায় যাই, ঠিক সেভাবেই এমন একটি ব্যবস্থা তৈরি করা উচিত, যাতে সহজেই আমার প্রদানকৃত করের টাকা দিয়ে আপনারা কী করছেন, সেটা আমি জানতে পারি।'


এটা কীভাবে কার্যকর হবে? ক্ষমতার সুষম বণ্টনের মাধ্যমে এবং কোনো একজন মানুষ কিংবা কর্তৃপক্ষের হাতে অত্যধিক ক্ষমতা না দেওয়ার মাধ্যমে?

স্যাপিয়েন্স: আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব হিউম্যানকাইন্ড
স্যাপিয়েন্স: আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব হিউম্যানকাইন্ড

অবিকল এভাবেই করতে হবে। একটি মতবাদ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে, যেখানে বলা হয়েছে যে আপনি যদি করোনা রোগীর সংস্পর্শে এসেছে এমন কাউকে সতর্ক করতে চান, তাহলে দুটি উপায় রয়েছে: একটি উপায় হচ্ছে একটি কেন্দ্রীয় তথ্যাগার তৈরি করা, যেখানে সবার ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করা হবে, এবং যদি কেউ কোনো কোভিড-১৯ রোগীর সংস্পর্শে আসে, তাহলে তাকে সতর্ক করে দেওয়া হবে। আরেকটি পদ্ধতি হচ্ছে সরাসরি ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ; যেখানে কোনো কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ থাকবে না এবং পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান করা হবে। অর্থাৎ কেউ যদি কোনো কোভিড-১৯-আক্রান্ত মানুষের কাছাকাছি আসে, তাহলে সে নিজ দায়িত্বে প্রথম ব্যক্তিকে সে ব্যাপারে সতর্ক করে দেবে—ফোনের মাধ্যমে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কোনো কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ দৈনিক ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করতে পারছে না এবং ফলোআপও করতে পারছে না।

জার্মানির কথা বলতে পারি, জার্মান ফেডারেল ডিজিজ এজেন্সি (আরকেআই) স্বেচ্ছায় একটি ট্র্যাকিং অ্যাপের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের ডেটা সরবরাহ করার সক্ষমতা রাখে।


বর্তমান সংকট মোকাবিলার জন্য সম্ভাব্য নজরদারি-ব্যবস্থা আরও এক ধাপ এগিয়ে যেতে পারে, যাকে বলা যেতে পারে অন্তর্ভেদী প্রযুক্তি। দেখা যাচ্ছে যে আমাদের শরীরের চামড়া, যা এত দিন ছিল অস্পৃশ্য, সেটাকেও ভেদ করে নজরদারি করা সম্ভবপর হচ্ছে। এ ব্যাপারগুলোকে আমরা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি?

এ ব্যাপারে আমাদের অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। অন্তর্ভেদী নজরদারি-ব্যবস্থা হছে এমন একটি প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে আপনি বাইরে কী করছেন, কোথায় যাচ্ছেন, কার সঙ্গে দেখা করছেন, এমনকি টিভিতে কী দেখছেন কিংবা অনলাইনে কোন কোন ওয়েবসাইটে যাচ্ছেন, তার সবকিছুর ওপরই নজর রাখা হচ্ছে। এই অন্তর্ভেদী নজরদারি-ব্যবস্থায় আপনার শরীরের ভেতরে কিছু প্রবেশ না করিয়েও জানা যায় ভেতরে কী ঘটছে। শুরুতে শরীরের তাপমাত্রার মতো সহজ ব্যপার দিয়ে শুরু হলেও পরবর্তী ধাপে রক্তচাপ, হৃদ্কম্পন, মস্তিষ্কের কার্যকলাপ ইত্যাদিও নজরে রাখা যায়। আর একবার এটা শুরু করলে আপনি যেকোনো মানুষের ব্যাপারে অনেক বেশি তথ্য জানতে পারবেন, যা এর আগে জানার কোনো উপায় ছিল না।


আপনি চাইলে একটি একদলীয় শাসনতন্ত্র তৈরি করতে পারেন, যা নজিরবিহীন। আপনি যদি আমি কী পড়ছি বা টিভিতে কী দেখছি, সেটা জানতে পারেন, তাহলে আমার শৈল্পিক পছন্দ, রাজনৈতিক চিন্তাধারা এবং ব্যক্তিসত্তা সম্পর্কে আপনার মনে একটি ধারণা তৈরি হবে। তবে এই জ্ঞান সীমিত পর্যায়ের। আবার চিন্তা করুন যে আপনি চাইলে আমি যখন একটি প্রবন্ধ পড়ছি বা কোনো একটি অনুষ্ঠান দেখছি অনলাইনে বা টিভিতে, ঠিক সেই মুহূর্তে আমার শরীরের তাপমাত্রা কিংবা রক্তচাপ কী রকম, সেটা জেনে নিতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে আপনি জেনে যেতে পারবেন প্রতিমুহূর্তে আমার কেমন বোধ হচ্ছে। এ ধরনের প্রবণতা খুব সহজেই একটি নরকতুল্য এবং সর্বগ্রাসী শাসনব্যবস্থার জন্ম দিতে পারে।


এটি অনিবার্য কোনো নিয়তি নয়। আমরা চাইলেই এটাকে প্রতিহত করতে পারি। কিন্তু প্রতিহত করার আগে প্রথমে আমাদের অনুধাবন করতে হবে যে এটি একটি বিপদ, এবং দ্বিতীয়ত, এই সংকটের মুহূর্তে কী কী জিনিস বরদাশত করব আর কী কী করব না, সেটা নিয়েও আমাদের সাবধান হতে হবে।


একবিংশ শতাব্দীর মানবজাতির যে ভাবমূর্তি আপনার মনে ছিল, এই সংকটের কারণে কী সেটাকে পুনর্বিন্যাস করা অনিবার্য হয়ে উঠেছে?


টোয়েন্টি ওয়ান লেসনস ফর দ্য টোয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি ]
টোয়েন্টি ওয়ান লেসনস ফর দ্য টোয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি ]

আমরা এখনো জানি না, কারণ, সেটা নির্ভর করবে আমরা এখন কী কী সিদ্ধান্ত নেব, সেটার ওপর। বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটের কারণে বৃহৎ একটি কর্মহীন মানবগোষ্ঠী তৈরি হবার বিপদ নাটকীয়ভাবে বেড়ে যাচ্ছে। আমরা সামনে দেখতে পাচ্ছি স্বয়ংক্রিয়করণের বৃদ্ধি, যার ফলে এত দিন ধরে যেসব কাজ মানুষ নিজের হাতে করে এসেছে, তা ধাপে ধাপে কম্পিউটার ও রোবটের দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে, এবং আরও বেশি বেশি মানুষ চাকরি হারাবে। এর পেছনে একটি বড় কারণ হচ্ছে যে মানুষ এখন তাদের নিজ নিজ বাসায় অন্তরীণ অবস্থায় আছে, এবং তারা সহজেই ভাইরাস-আক্রান্ত হতে পারে। কিন্তু রোবট ভাইরাস-আক্রান্ত হবে না কখনোই। সামনে এ রকম একটা প্রবণতা দেখা দিতে পারে যে বাইরের দেশের কলকারখানার ওপর নির্ভরতা কমানোর উদ্দেশ্যে কোনো কোনো দেশ কিছু শিল্পকারখানাকে আবার নিজেদের কাছে ফিরিয়ে আনতে পারে। সে ক্ষেত্রে হয়তো বিশ্বায়নের বিনির্মাণ শুরু হবে এবং একটি বিশাল জনগোষ্ঠী কর্মহীন হয়ে পড়বে, কারণ, তাদের কাজগুলো স্বয়ংক্রিয়করণ হয়ে গিয়েছে কিংবা অন্য কোথাও সরে গিয়েছে।

এবং এই ব্যাপারটি ধনী রাষ্ট্রেও ঘটতে পারে। এই সংকট চাকরির বাজারে বড় ধরনের পরিবর্তন আনছে। মানুষ বাসায় থেকে কাজ করছে। মানুষ অনলাইনে কাজ করছে। আমরা যদি সতর্ক না হই, তাহলে পরিণামস্বরূপ কিছু কিছু শিল্প খাতের সুসংহত শ্রমবাজারে একটি বড় ধরনের ধস নামতে পারে; কিন্তু এই পরিণতি অনিবার্য নয়। এটি বরং একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। আমরা চাইলে বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের দেশে কিংবা বিশ্বজুড়ে কর্মীদের অধিকার রক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিতে পারি । সরকারগুলো বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে প্রণোদনা দিচ্ছে। সেসব ক্ষেত্রে সরকার প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের অধিকার রক্ষাকে একটি মূল শর্ত হিসেবে কার্যকর করতে পারে। এসবই আমাদের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল।


একজন ভবিষ্যতের ইতিহাসবিদ আমাদের বর্তমান অবস্থাকে কীভাবে বর্ণনা করবেন?


আমার ধারণা, ভবিষ্যৎ ইতিহাসবিদগণ এই সময়টাকে একবিংশ শতাব্দীর একটি ঘুরে দাঁড়ানোর মুহূর্ত হিসেবে অভিহিত করবেন। কিন্তু আমাদের পরিণতি কী হবে, তার পুরোটাই নির্ভর করছে আমাদের নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোর ওপর। এ ক্ষেত্রে অনিবার্য পরিণতি বলে কিছু নেই।


সূত্র: ডয়েচে ভেলে, ২২ এপ্রিল ২০২০

Sunday, January 17, 2021

হুনের বাড়ী ফেরা

হুনের বাড়ী ফেরা

কোরীয় যুদ্ধের সময় ১৩ বছর বয়সে মা-বাবা ও পাঁচ ভাই-বোনের সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে পালান হুন মি। ভেবেছিলেন সপ্তাহখানেক পর ফিরে আসবেন। এখন বয়স ৮৩ বছর। ফেরা হয়নি বাড়ি। তবে সাত দশক পর হুন নিজের শৈশবের বাড়িতে ফিরলেন। না, বাস্তবে নয়। 


কালের কন্ঠ, অনলাইন এবং অফলাইন 

https://www.kalerkantho.com/print-edition/techbishwa/2021/01/17/995714

১৭ জানুয়ারী, ২০২১

Saturday, January 16, 2021

ঘুমের কথকতা

ঘুমের কথকতা: আমরা প্রায়শয়ই রাত জাগা নিয়ে দুঃচিন্তা করি—কিন্তু এই অভ্যাস আপনার জন্য ভালও হতে পারে। বিজ্ঞান ও ইতিহাস থেকে পাওয়া বিবিধ তথ্য প্রমাণ থেকে এই সিদ্ধান্তে আসা যায় আট ঘন্টার ঘুম আবাশ্যক নয়; এটি একটি আরোপিত নিয়ম। মিথ।

Sunday, January 10, 2021

I Give Up




I moved the mountains,

Repaired a broken space craft;

replaced the battered raft paddles,

But it wasn't enough to appease.

 

I rechecked the starboard and the hull, 

Made a boat as majestic as the Noah's ark;

I checked the woodwork, it was made of the finest cider, 

But it wasn't enough to put an end to the barking. 


The chassis had no crisis,

The engine oil was of the finest quality;

No sign of a mutiny or an expensive gluttony;

But no, it still wasn't good enough. 


Up is what I give you,

And no, I am not giving you up;

I just have three words remaining,

I GIVE UP.