Sunday, November 14, 2021

শুভ জন্মদিন প্রিয় হুমায়ুন আহমেদ




যারা আমাকে ভাল করে চেনেন, তারা জানেন, আমার জীবনের শুরুর দিকের ৮টি বছর প্রবাসে কাটিয়েছি। সৌদি আরবে আমার বাবা একটি কনসালটেন্সি ফার্মে স্থপতি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তখন খুব বেশি বাংলা বই পড়ার সুযোগ পাইনি।


তবে পাকাপাকি ভাবে দেশের ফেরার পর থেকে বাংলা বই পড়া শুরু, আর শুরু থেকেই বেশি করে পড়া হয়েছে সেবা প্রকাশনী, শ্রদ্ধেয় হুমায়ুন আহমেদ স্যার এবং উনার ছোট ভাই মুহাম্মদ জাফর ইকবালের বই। বস্তুত, উনাদের হাত ধরেই আমার বই পড়ার অভ্যাস তৈরি এবং তেমন কোনো দ্বিধা না করেই বলা যায়, ৮০ আর ৯০ এর দশকে বাংলাদেশের বেশিরভাগ পাঠকের পাঠক হয়ে ওঠার গল্পটা কম বেশি এরকমই।

তবে বাকিদের তুলনায় হুমায়ুন আহমেদ অনেকটাই এগিয়ে থাকবেন।

যতদূর মনে পড়ে, ১৯৯২-৯৩ সালের দিকে প্রথম ‘হোটেল গ্রেভার ইন’ বইটা হাতে পাই। তখন ইন্টারনেট ছিলো না, পশ্চিমা বই পুস্তকও হাতে পেতাম না একদমই। প্রবাসী আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে শোনা কিছু গল্প এবং সেবা প্রকাশনীর অনুবাদ আর কিশোর ক্লাসিকই ছিল পশ্চিমের দুনিয়া সম্পর্কে তথ্য ও ধারণার উৎস।

হোটেল গ্রেভার ইন আমার সামনে এক নতুন জগতকে উন্মোচন করে দিয়েছিল। হুমায়ুন আহমেদের এই স্মৃতিচারণামূলক বই থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বা প্রকারান্তরে পশ্চিমের জীবন যাপন সম্পর্কে এত কিছু জেনেছি যে, এই বইটি মনের মধ্যে চিরকালের জন্য একটি বিশেষ স্থান দখল করে নিয়েছে। পরবর্তীতে যখন বাস্তব জীবনে আমেরিকানদের সঙ্গে যোগাযোগ ও কথোপকথন হয়েছে, তখন অবাক হয়ে লক্ষ্য করেছি, হুমায়ুন আহমেদ এক বিন্দুও বাড়িয়ে বলেননি।

তুষারপাতের অসামান্য বর্ণনা, ক্যাম্পিং এর উত্তেজনা, প্রবাসীদের মধ্যে দেশপ্রেম, টপলেস বার, সেদেশের মানুষের খাদ্যাভ্যাস, লাস ভেগাসের ক্যাসিনো, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এমন কী ইসলামোফোবিয়া (দ্বিতীয় মেয়ের জন্মের পর তিনি কানের কাছে আজান দিতে গিয়েছিলেন, সে আজান শুনে নার্স হাত থেকে ট্রে ফেলে দেয় এবং ডাক্তার বলে ওঠেন ‘এসব কি হচ্ছে?’) পর্যন্ত অনেক কিছুই তিনি এই ৮০ পাতার মধ্যে লিখে গেছেন। আমি নিশ্চিত, উনার বর্ণনার সঙ্গে বিদেশে পড়তে যাওয়া প্রতিটি বাঙ্গালী ছেলে ও মেয়ে একবারের জন্য হলেও একাত্মবোধ করেছেন।

হোটেল গ্রেভার ইন নিছক স্মৃতিকথাই নয়, এটি একই সঙ্গে ভ্রমণ কাহিনী, পশ্চিমা জীবনের সারাংশ ও সারমর্ম, দেশপ্রেমের উপাখ্যান, প্রেমের উপন্যাস এবং আরও অনেক কিছু।

এই বইয়ের ‘বাংলাদেশ নাইট’অংশটি পড়ে চোখের পানি ফেলেননি এরকম মানুষ একজনও হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। এই গল্পের শেষ কয়েকটি অনুচ্ছেদে হুমায়ুন আহমেদ প্রবাসী বাঙ্গালীদের দেশের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার যে ছবি এঁকেছেন, তা সবার হৃদয়কে ছুঁয়ে যেতে বাধ্য। যারা জীবনেও দেশের বাইরে গিয়ে থাকেনি, তারাও এই গভীর আবেগ বুঝতে পারবেন।

বইটা অসংখ্যবার পড়েছি। সংগ্রহে ছিলো না কোন এক কারণে। আজকে উনার জন্মদিনে আবারও কিনে আনলাম আর ১ ঘণ্টার মধ্যে পড়েও ফেললাম।

প্রথমবার পড়ে যতটা ভালো লেগেছিল, শততম বারেও একইরকম ভালো লেগেছে।

শুভ জন্মদিন প্রিয় লেখক।
#ishtiaq_radical

Friday, September 17, 2021

Tête-à-tête over Chow Mein

Tête-à-tête over Chow Mein  


 

I have just one regret;

It's silly, but it is still a fact. 

There's this one thing that I never get! 

I never get to wait and to get annoyed. 

 

Soon I find myself checking a few statues, 

or half writing a couple of random sentences, 

But then, suddenly, I feel the fragrance hitting me.

 

It's a close range shot,

It's a shotgun, not a sniper rifle. 

The impact is loud and damaging. 

Oh how I crave for that damage. 

 

I look up, and time seems to have frozen.  

I shift a bit from the comfort of the cozy sofa, 

And there she is, smiling and without a mask. 

Before I can say hello; 

she gets closer and starts sharing the O two with me.

 

A closer, visual inspection reveals a slightly different shade of hair

But before the question crosses the lip's border,

She replies, hey, this is just the thing that makes the hair color different.

It's the same thing that the "mooned" religious leader used to apply on his beard.  

 

It's been settled, and discussed a number of times before. 

We don't like chop suey, it's too American for our Chinese taste. 

Hakka noodles is a stranger, spicy noodles doesn't agree with the tastebuds

So Chow mein it is, and pad Thai never gets the nod,

Thanks to its dubious pronunciation whilst we stay Bengalis. 

 

No, there is another regret!

It's less silly, but it is still a fact.

There's another thing that I get less;

It's the calamities, discords and stress. 

 

Eating food seems like a great idea.

It provides a brilliant excuse, an excellent endeavor. 

It helps to dig deeper and to get mesmerized. 

Is it the poetry, or the calm confidence?  

Which makes things sultrier? 

 

Where have all the strawberries gone?
I hear, they have been mashed and vandalized!

Or rather, let me make up a new word to describe their ill fate.

They have been Bengalized and made in to something that only exists here. 

And here I thought fried chicken burger was the worst abomination!

But no, mashed strawberry with pickles takes the crown any day. 

 

So risky raspberries and the good old friend liquid tangerines. 

They brought us a smile and a casual, one sided ignoring. 

One nation tries to warm up, the other ignores. 

A fly sits on a grazing cattle, and claims

Hey, "we" are cultivating the land. 

 

Similarly, the guy here keeps getting more and more addicted;

And she keeps getting away, or does she?

And not just away, she has her own destination to visit. 

The visit that sounded minor, but on certain days, or every certain day, or 

certainly, everyday! 

 

It became a topic of discussion.

To him, it always caused a concussion, 

But not in the brain--that'd kill him, right?

Heart's concussions don't kill fast, it kills slowly. 

Maybe, perhaps--we shall see. 

 

And then, just like all other puzzles and riddles.

The solution came to him like a moment of eureka. 

He gets a cup of steaming hot masala tea,

adds a serving of a sweet delicacy. 

Get's indulged in to the ancient healer.

Adds some casual touches;

He becomes a daredevil, he tests the boundaries of patience. 

He gets indulged for a while, and even though he gets rebuked.

He is still glad he tried, 

For if he didn't, he would never know the boundaries. 

 

But that didn't solve the problem, 

Taking a feather from a mathematician's crown did. 

Forget all other variables in the equation

Convert a complex string of numbers in to common integers

Or rather, take the binary number other than zero. 

 

Life is simple for plants; they don't need a menu.

All they can ever eat, and fall in love is with the carbon dioxide. 

They eat our poison so that we can live happily. 

And what a happy life the trees have. 

They have happiness until they are dead,

because they get free food as long as they live. 

And their free food is someone else's poison. 

 


Thursday, July 01, 2021

Holy Artisan Remembered

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বেশ কিছুদিন আগে 'অন দিস ডে' নামে একটি নতুন ফিচার যোগ করা হয়েছিল, যার নাম পরে পরিবর্তন করে পরে 'মেমরিজ' দেওয়া হয়। 


প্রতিদিন এই মেমরিজ ট্যাবটিতে ক্লিক করলে সেই দিনে বিগত বছরগুলোতে ফেসবুকের বিভিন্ন পোস্ট, স্মৃতি ও ছবি দেখা যায়। 


আমার মত অনেকেরই বিগত দিনের ফেসবুকীয় স্মৃতিগুলো দেখতে আর শেয়ার করতে ভাল লাগে। 


তবে আজকের দিনটি ভিন্ন ছিল। এ দিনের স্মৃতিগুলো কেমন যেন। 


১ জুলাই তারিখটি আমাদের সবার জীবনে একটি কালো দিনকে মনে করিয়ে দেয়। ২০১৬ সালের সে দিনটিতে আমরা সপরিবারে ইফতার করতে গিয়েছিলাম গুলশান ১ ও ২ এর মাঝামাঝি, ১১৩ নং রোডে অবস্থিত 'গ্লাসহাউজ ব্রেসারি' নামের একটি মোটামুটি অখ্যাত রেস্তোরাঁয়। 


খাবারের মান ভাল হওয়া স্বত্বেও রেস্তোরাঁটি বন্ধ হয়ে গেছে। যেমন বন্ধ হয়েছে ৭৭ নং রোডের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁটিও। তবে দুটি রেস্তোরাঁ বন্ধ হওয়ার নেপথ্যের কাহিনী পুরোপুরি ভিন্ন। 


হলি আর্টিজানকে সব দিক দিয়েই বলা যেত 'দেশের মধ্যে বিদেশের' স্বাদ। পাঁচ তারকা হোটেল বাদে এটিই সম্ভবত ঢাকার একমাত্র রেস্তোরাঁ ছিল যেখানে 'অথেনটিক' ইউরোপীয় খাবার পাওয়া যেত। বিভিন্ন বেকারি আইটেমের পাশাপাশি এখানে সি-ফুড, স্প্যানিশ খাবার, যেমন পায়েইয়া, ইতালীয় পিৎজা, পাস্তা সহ আরও অনেক ধরণের ভিন্ন স্বাদের খাবার পাওয়া যেত।  


'চেক-ইন' যুগে প্রায় প্রতিদিনই দেখতাম কোন না কোন বন্ধু, সুহৃদ, সহকর্মী সেখানে যাচ্ছেন। 


যে বাসাটিতে রেস্তোরাঁটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল, সেটি এর আগে একটি বাসাই ছিল। বিলাসবহুল এই বাড়ীটিতে এক সময় আমার এক সাবেক কর্মস্থলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তার পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। তিনি নিজ দেশে চলে যাওয়ার পর সেখানে হলি আর্টিজান প্রতিষ্ঠিত হয়। 


২০১৬ সালের মর্মান্তিক ঘটনাটির আগে মোট তিন বার সেখানে যাওয়া হয়েছিল। 


শেষবার গিয়েছিলাম আমার বড় মেয়ে (তখনও ছোট জনের জন্ম হয়নি) মিশেল ও তার মাকে নিয়ে।


২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসের কোন এক ছুটির দিনে তিনজন বেশ উপভোগ করেছিলাম 'দেশের মধ্যে বিদেশ' ব্যাপারটি। রেস্তোরাঁর ভেতরটি অনেক খোলামেলা ছিল। বাইরে সুদৃশ্য বাগান এবং অনেকখানি অব্যবহৃত জায়গা। এমনকি, তখনও দোতালায় পানাহারের ব্যবস্থাও পুরোপুরি চালু হয়নি। খোলা জায়গা পেয়ে মিশেল প্রচুর দৌড়াদৌড়ি করেছিল। ভেতরে দেশী-বিদেশী অনেক ভোক্তা ছিলেন; সম্ভবত বিদেশীরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিলেন। 





খাবারের দাম একটু বেশি হলেও স্বাদ ছিল অতুলনীয়। আমরা বড় দুজন মানুষ এক বাক্যে স্বীকার করে নিয়েছিলাম যেত এত ভাল খাবার দেশের মাটিতে বেশ কিছুদিনের মাঝে খাওয়া হয়নি আমাদের। 


২০১৬ সালের সে ভয়াবহ সন্ধ্যায় টিভি চ্যানেলের ধারাভাষ্য শুনে আর বিভিন্ন ওয়েবসাইটের আপডেট পড়তে পড়তে বিস্ময়, দুঃখ, বিহ্বলতা, ভীতি--সব ধরণের আবেগ-অনুভূতির শিকার হচ্ছিলাম। হলি আর্টিজানে আক্রমণ শুরু হওয়ার অল্প কিছুক্ষণ আগেও আমরা ১১৩ নং রোডের সে রেস্তোরাঁয় ছিলাম। 


হ্যাঁ, সেদিনও দেশের মাটিকে বিদেশ বলে মনে হচ্ছিল। তবে এই ভাবনাটি সুখের ছিল না। বাসায় ফিরে টিভি ছাড়তে না ছাড়তেই জানতে পারলাম মর্মান্তিক ঘটনার বিস্তারিত। 


ভুল উচ্চারণের 'সোয়াত টিম',  টেরোরিজম, বম্ব স্কোয়াড, রেসকিউ মিশন, কমান্ডো হামলা, জঙ্গি--এসব বিদেশী শব্দ আর ধারণা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ ছিল না কোন দিনই। 


পাঁচ বছর চলে গেছে, সেতুর নিচ দিয়ে অনেক পানি চলে গেছে--কিন্তু সেদিনের ঘটনার সকল রহস্য কি উদ্ঘাটিত হয়েছে? মনে হয় না। অন্য অনেক কিছুর মত এই ভয়াবহ দিনটিও আমাদের মন থেকে মুছে গেছে। এক ভাইরাল ঘটনার পর আরেক ভাইরাল ঘটনা আমাদের মানসপটকে দখল করে নিয়েছে। 


সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, আবার যদি এরকম হয়?  


মানে আবার যদি এরকম কোন ঘটনা ঘটে, আমাদের সংশ্লিষ্ট বাহিনী ও কর্তৃপক্ষ কি সেটার সাথে মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত? নাকি দিনের অর্ধেক সময় ধরে সোয়াট না সোয়াত, সে বিতর্ক করে অশ্বডিম্ব উৎপাদনেই সময় কাটাবো?


আশা করি রূঢ়ভাবে এই প্রশ্নের উত্তর যেন আমাদের জানতে না হয়। 




Thursday, June 17, 2021

Locked Down Brain

Locked down brain
Sometimes the brain is in lockdown!
For a moment, everything freezes,
and nothing seems to register in the mind.

For a fleeting moment;
everything stops, ceases and slows down.
It gives us a vision that can dissect and capture;
the captivating, and yet, dying moments of a falling leaf.

Oh, how it twirls, sways, floats, and eventually, kisses the earth.
And just like many other glorious falls,
the kissing leaf meets its ultimate destiny,
and becomes a part of mother earth.

We often forget that it had a green existence,
and it managed to fulfill its dying wish.
Instead, we obsess over its seemingly meaningless existence;
quizzical fall from grace, and eventual perish.

17.6.21
Photo: collected.



Thursday, May 06, 2021

রাস্তাফারাই, রেগে ও বব মার্লি বুক রিভিউ

 রাস্তাফারাই, রেগে ও বব মার্লি বুক রিভিউ






৯৫ পৃষ্ঠার এই বইটি আমি এক সন্ধ্যায় পড়ে শেষ করেছি। ইংরেজিতে বলতে গেলে এটি একটি “আনপুটডাউনেবল” বই; অর্থাৎ একবার পড়া শুরু করলে বইটি হাত থেকে নামিয়ে রাখা দুষ্কর।

“রাস্তাফারাই, রেগে ও বব মার্লি” বইটি খুবই সহজপাঠ্য, এবং এখানে সেখানে কিছু অশ্লীল শব্দচয়ন বাদ দিলে, সুখপাঠ্যও বটে। বইটি পড়ার সময় যে ভাবটি মনে উদয় হয়েছে, তা হলো, লেখক যেন আমার সামনে দাঁড়িয়ে থেকে কথাগুলো বলছেন। মনে হচ্ছিল যেন বব মার্লিকে নিয়ে আড্ডা হচ্ছে।

তবে এই বইটিকে বব মার্লির আত্মজীবনী ভাবলে ভুল হবে। লেখক স্বল্প পরিসরে চেষ্টা করেছেন রেগে সংগীত, রাস্তাফারাই ধর্মাবলম্বী ও বব মার্লি—এ তিনটি বিষয়কে পাঠকের কাছে সহজ ভাবে তুলে ধরতে।

বব মার্লি ও রেগে গান হালে অনেক বিবর্তনের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন স্থানে নাচের আসর মাতাতে, আনন্দ উল্লাস প্রকাশ করতে মার্লির গানের যেন কোন জুড়ি নেই। তাই ইউটিউবে খুঁজলে তার গানের ট্রান্স টেকনো ইলেক্ট্রনিক ডাবস্টেপ সব ধরণের রিমিক্স ও রিমেকই খুঁজে পাওয়া যায়। এ চাকচিক্যের আড়ালে অনেকসময় তার গানের প্রকৃত অর্থ হারিয়ে যায়।

আমার কাছে বব মার্লির গান মানেই হচ্ছে ধ্যান করার মত একটি ব্যাপার। হ্যাঁ, অবশ্যই তার গানের মাঝে কিছু রয়েছে প্রেম ভালবাসার গান, আর কিছু আছে আপবিট, নাচের আসরের উপযোগী গান। কিন্তু মার্লির রেগে বুঝতে হলে গানের লিরিক্স, অর্থাৎ কথাগুলোকে ভাল করে অনুসরণ করতে হবে।

এ বইটিতে লেখক কাজী মুনতাসির বিল্লাহ ঠিক সে কাজটিই করেছেন। পাতায় পাতায় প্রসঙ্গক্রমেই এসেছে মার্লির প্রতিবাদী ও বিদ্রোহ ঝরা লিরিক্স এর বাংলা অনুবাদ, ও সাথে গানগুলোর পেছনের করুণ গল্পগুলো।

মার্লির জীবন নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি রেগে গানের উৎপত্তি কিভাবে হলো, কারা এ ধারার মূল এবং পথিকৃৎ শিল্পী, সে ব্যাপারগুলো সুন্দর ভাবে উঠে এসেছে এখানে।

জ্যামাইকান শিল্পীদের উত্থানের পেছনে রয়েছে তাদের আফ্রিকান পূর্বসূরিদের হাজার বছর ধরে নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হওয়া—এ ব্যাপারটির সাথেই আমাদের, যারা শুধু শ্রোতা হিসেবেই মার্লিকে চিনি, তেমন কোন পরিচয় নেই।

রেগে সংগীতের ইতিহাসের হাত ধরেই এসেছে রাস্তাফারিয়ানদের কথা। বব মার্লি ও তার সহ সংগীত যোদ্ধারা যে শুধুই এক দল গাঁজাখোর “রুড বয়” (উগ্র বালক) ছিলেন না, তা বইটি পড়লে ভাল করেই বোঝা যায়।

বইটি পড়তে কেমন লেগেছে, তা শুরুতেই উল্লেখ করেছি। তবে যদি বইটি নিয়ে আমার কোন অভিযোগের কথা বলতে বলা হয়, তাহলে আমি দুটি বিষয় উল্লেখ করবো।

প্রথমত, বইটি যেন হঠাত করেই শেষ হয়ে গিয়েছে। বব মার্লির সংগীত ও বর্ণাঢ্য ব্যক্তিগত জীবনের বড় অধ্যায়টি অনেকাংশেই যেন অনুপস্থিত এখানে। লেখক এ বিষয়গুলোকে ছুঁয়ে গিয়েছেন, কিন্তু অনেক গভীর ভাবে অনুসন্ধান করেননি এ লেখায়। হয়তো এটি ইচ্ছাকৃতভাবেই করা হয়েছে, তবে পাঠক হিসেবে “বব মার্লি” কে নিয়ে লেখা একটি বই এর কাছে এ ব্যাপারে আরও একটু বেশি প্রত্যাশা ছিল আমার।

দ্বিতীয়ত, বইটির প্রায় শেষের দিকে এসে মার্লির মৃত্যু নিয়ে একটি অধ্যায় রাখা হয়েছে। বইটি সেখানেই শেষ করা হলে ভাল হতো। মার্লির মৃত্যুর ঘটনাটি পড়ার পর কোথায় যেন একটি সুর কেটে গিয়েছিল। এরপর আর বাকি ইতিহাস তেমনভাবে আকর্ষণ করেনি আমাকে। সম্প্রতি প্রখ্যাত রক শিল্পী জন লেননের একটি জীবনী পড়েছি, যেটি শুরু হয়েছিল জন এর মৃত্যুর ঘটনাটির বর্ণনা দিয়ে। আবার একেবারে শেষের দিকে এসে সে প্রসঙ্গে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন লেখিকা (জন লেননের প্রথম স্ত্রী, প্রয়াত সিন্থিয়া লেনন), যা বেশ চমৎকার একটি উপসংহার টেনেছে বইটির।

হয়তো “রাস্তাফারাই, রেগে ও বব মার্লি” বইটির লেখকও চাইলে পারতেন বইটিকে মার্লিময় রেখে দিতে। ভিন্ন প্রসঙ্গগুলো আরেকটি কম গুরুত্ব পেলে পাঠকের প্রত্যাশা আরেকটু ভাল ভাবে পূরণ হতো।

তবে সব মিলিয়ে বলবো বাংলা ভাষায় সংগীত সংক্রান্ত ভাল লেখা খুব একটা চোখে পড়ে না, আর সম্ভবত এ ধারার লেখার পাঠকও তেমন নেই। আমি লেখককে শুভ কামনা জানাই। বই এর শেষে “রেফারেন্স” বই ও প্রবন্ধের দীর্ঘ তালিকায় চোখ বুলালেই বোঝা যায় লেখক কতটা শ্রম দিয়েছেন এর পেছনে

Thursday, March 11, 2021

দাদুর জন্য

 

আজকে আমার দাদু সুরাইয়া খানম এর ২১তম মৃত্যু বার্ষিকী।

দাদা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। ১৯৭১ সালের ১৪ই ডিসেম্বর তাকে নিজ বাসা থেকে চোখ বেধে নিয়ে যায় রাজাকার আল বদর বাহিনীর দোসররা। সেদিন দাদু, দাদার জন্য ওষুধ বানিয়ে রেখেছিলেন নিজের হাতে। দাদা বলেছিলেন ফিরে এসে খাবেন। সেই ফেরা আর হয়নি।

এরপর, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দাদু তার ছেলেমেয়ে, এবং নাতী নাত্নীদেরকেও বড় করেছেন, মানুষ করেছেন। দাদার অবর্তমানে তিনি ৫ ছেলে ও ৩ মেয়ের বড় সংসার কে টেনে নিয়েছেন শক্ত হাতে।

দাদা যখন মারা যান, তখন আমার আব্বা (মেঝ ছেলে) ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র এবং বড় চাচা সদ্য বিবাহিত এবং মাত্র চাকরী শুরু করেছেন। বাকি চাচা ফুফুরা অনেক ছোট ছিলেন। পরবর্তীকালে ছেলে মেয়েরা বিভিন্ন ভাবে দাদুকে সহায়তা করলেও উনিই ছিলেন নেপথ্যের চালিকাশক্তি। ছোট বড় সংকটে দাদুর কথাই ছিল শেষ কথা।

আমাদের অনেক সৌভাগ্য যে দাদুর আদর পেয়ে বড় হতে পেরেছি। উনি মারা যাওয়ার পরেই কেবল বুঝতে পেরেছি পরিবারে মুরুব্বির ভূমিকা কত বড়। ২১ বছর চলে গিয়েছে, কিন্তু এখনো মনে পড়ে উনার সাথে প্রতিটি কথোপকথন।

দাদুর গল্প লিখে শেষ করতে পারবো না। যেই উনাকে দেখেছেন, চিনেছেন, তিনিই উনাকে মনে রেখেছেন আজ অবধি। দাদুর দু'টি গল্প শুনাই আজকে। আগেও লিখেছি, আবারও লিখছি আজ।

আমাদের বাসায় অনেক ফেরিওয়ালার আনাগোনা ছিল। সব সময় দারোয়ান থাকতো না বাসায়, কারণ নব্বুই এর দশকে ঘরের নিরাপত্তা নিয়ে টেনশান অনেক কম ছিল সবার। দারোয়ান কখনো থাকলেও দেখা যেত তাকে পটিয়ে ফেরিওয়ালারা ঠিকই উপরে চলে এসেছে।

সে যাই হোক, ফেরিওয়ালাদের কাছে দাদু ছিলে প্রিয় মানুষ। কিছু কিনুক বা না কিনুক, উনার সাথে কথা বলে সবাই মজা পেত। দাদুও দিনের একটা সময় বরাদ্দ রাখতেন তাদের সাথে দরদাম করার জন্য।

কেউ হয়তো নিয়ে আসতো ইলিশ, কেউ সব্জী, আবার কেউ আনতো মুরগী--সবার সাথেই দাদু দরদাম করতেন। এমন সব দাম বলতেন যা শুনে ওদের আক্কেল গুড়ুম হয়ে যেত।

এক মাছওয়ালা একদিন দাদুর বলা দাম শুনে কানে হাত দিয়ে পাতিল মাথায় নিয়ে দৌড় দেয়। আমার নিজের চোখে দেখা সে ঘটনা। সম্ভবত ২০০ টাকা দাম চাওয়া মাছের দাম ২০ টাকার বেশি হবে না ধরণের কিছু একটা বলেছিলেন দাদু।

যাওয়ার সময় সে মাছওয়ালা বলেছিল খেদযুক্ত কন্ঠে " কানে ধরেছি, এই বাসায় মাছ নিয়ে আর আসবো না"। কিন্তু ঠিকই তারা ফিরে আসতো আবার।

কারো দাদী, কারো নানী হয়ে উনি কখনো বেশি দাম দিয়ে আবার কখনো ন্যায্য দামেই কিনতেন নানা পণ্য। বেশিরভাগ সময় জিতে যেত ফেরিওয়ালারাই, সবাই ফিরে যেত হাসি মুখে।

বাসায় বাজার থাকলেও কিনতেন; উনার জন্য এই কাজটি কিছুটা শখ এর মত ছিল, এবং আর কেউ না বুঝলেও আমি বুঝতাম যে এটা ছিল উনার এক ধরণের বদান্যতা।

আমাদের তিন তলায় তিনটি ফ্ল্যাটে আমরাই থাকতাম, তাই কমন একটা গেট ছিল। মাঝখানের করিডোরে একটা বড় চেয়ার রাখা থাকতো দাদুর জন্য। সেই চেয়ারের সামনের মেঝেতে ফেরিওয়ালারা বসতো তাদের বেসাতি নিয়ে।

দাদু মারা যাবার পরেও অনেকদিন ধরে ফেরিওয়ালারা আসতো বাসায়; এসেই হাঁকডাক -- "কই দাদী কই? সবচেয়ে ভাল মাছ নিয়ে আসছি আপনার জন্য, একবার খাইলে জীবনে ভুলবেন না"।

তখন আমার আম্মা, কিংবা চাচী খুব কষ্ট নিয়ে দুঃসংবাদ টা দিত। "আম্মা আর নাই"।

একেকজনের প্রতিক্রিয়া হত একেকরকম। কেউ শকড হোত, কেউ বা কান্না শুরু করতো, কেউ অবিশ্বাসে মাথা দুলাতে থাকতো। একজন কোন কথা না বলে দৌড়ে চলে গিয়েছিল নিচে। তার হাউমাউ কান্নার শব্দ এখনো মনে পড়ে; আমার নিজেরও চোখে পানি চলে এসেছিল।

সেই ২০০র জায়গায় ২০টাকা দাম শোনা মাছওয়ালাটি বিশ্বাসই করতে পারেনি দুঃসংবাদটি, হিস্টিরিয়াগ্রস্থ মানুষের মত বারবার বলে যাচ্ছিল "কি কন? কি কন? উনি বাড়ি গেসে? কবে ফিরবেন?"।

দাদু নিজেও জানতেন না কত মানুষ কে উনি প্রভাবিত করেছেন। দাদু মারা যাওয়ার পর প্রায় বছরখানেক একই দৃশ্যের অবতারণা হত। কেউ না কেউ এসে দুঃসংবাদ শুনে দুঃখ করতে করতে চলে যেত।

আরেকদিনের ঘটনা বলি।

আমাদের বাসায় একটি মান্ধাতার আমলের স্টেরিও ক্যাসেট প্লেয়ার ছিল। কোনমতে সেটা দিয়ে ওয়ার্ল্ড মিউজিক (রেডিও) শোনা যেত, আর ক্যাসেট বাজানো যেত।

একদিন আমি জোরালো ভলিউমে "কত কষ্টে আছি" (জেমস এর) গানটি বাজাচ্ছি। গানটা তখন খুব হিট। একবার শুনে আবার বাজালাম। সাইডের প্রথম গান, তাই সহজেই রিওয়াইন্ড করে বারবার বাজানো যাচ্ছিল। তৃতীয় অথবা চতুর্থবার বাজানোর পর দাদু এসে হাজির হলেন।

"তুই ছোড হোলা, তোর এত কষ্ট কিয়ের? আমারে বল"।

নাতীকে নিয়ে দাদুর এই স্নেহমাখা দুঃচিন্তা আর সেটা সমাধান করার তীব্র ইচ্ছা--এরকম করে আর কেউ কি কখনো ভেবেছে?

শ্রদ্ধেয় হামিন আহমেদ আর শাফিন আহমেদ কে দাদু দু'চোখে দেখতে পারতেন না। টিভিতে কখনও উনাদেরকে দেখা গেলেই উনি উষ্মা প্রকাশ করতেন। উনার অভিযোগ ছিল, কেন আমরা "টাইক্কা বুইড়া"দের গান শুনতেসি!

তবে আমার কাছে মনে হয় উনারা চিরতরুণ (কিংবা, চির বুইড়া)। ২০০০ সালে যেরকম ছিলেন, ২১ বছর পরেও সেরকমই আছেন।

মোটামুটি সুস্থ্য অবস্থাতেই দাদু মারা যান। হাসপাতালে গিয়েছিলেন সহজ উপসর্গ নিয়ে। সেখান হঠাত করেই অবস্থার অবনতি এবং মৃত্যু। উনি যে হাসপাতালে, সেই খবরটাই তখনো বৃহত্তর পরিবারে সবাই জানতো না।

আমি তখন আইবিএর ছাত্র। ক্লাস শেষে গিয়েছিলাম দাদুকে দেখতে। আমাকে দেখে বলেছিলেন "তুই কেন আসছিস? তোর না অনেক পড়াশোনা?"। সেটাই দাদুর সাথে আমার শেষ কথা।

দাদা কে কোনদিন দেখি নাই, কিন্তু দাদুর মাঝে দেখেছি একজন বিশুদ্ধ, আত্নত্যাগী ও আদর্শ মানুষ। আল্লাহ উনাকে বেহেস্তবাসী করুন।

সবাই দয়া করে উনার বিদেহী আত্মার জন্য দোয়া করবেন আজকে।

(পুরনো লেখার পরিমার্জিত ও পরিবর্ধিত সংস্করণ)।

১১মার্চ, ২০২১।

ছবিটি ১৯৭৪ সালে তোলা। বাগানে, গাছের যত্ন নিচ্ছেন দাদু।

Sunday, February 28, 2021

My Recently Published Articles (As of Feb 28, 2021)

 ২০২১


৪। পৃথিবীর মঙ্গল গ্রহে ভ্রমণ

মঙ্গলের মতই লালচে বাদামী; এবং এর মাঝে আগ্নেয় বালির কালচে রঙের চিহ্নও দেখা যায়। ভিনগ্রহের মত দেখতে এলাকাটিতে শুষ্ক উপত্যকা, খাড়া পাহাড় এবং ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কালো, ব্যাসাল্ট পাথরের চাঁইয়ের সন্নিবেশ ঘটেছে।


TBS Bangla, online

https://tbsnews.net/bangla/%E0%A6%87%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2/%E0%A6%AA%E0%A7%83%E0%A6%A5%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%B2-%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B9%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AE%E0%A6%A3%C2%A0

২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ 

৩। হুনের বাড়ী ফেরা

কোরীয় যুদ্ধের সময় ১৩ বছর বয়সে মা-বাবা ও পাঁচ ভাই-বোনের সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে পালান হুন মি। ভেবেছিলেন সপ্তাহখানেক পর ফিরে আসবেন। এখন বয়স ৮৩ বছর। ফেরা হয়নি বাড়ি। তবে সাত দশক পর হুন নিজের শৈশবের বাড়িতে ফিরলেন। না, বাস্তবে নয়। 


কালের কন্ঠ, অনলাইন এবং অফলাইন 

https://www.kalerkantho.com/print-edition/techbishwa/2021/01/17/995714

১৭ জানুয়ারী, ২০২১



আমরা প্রায়শয়ই রাত জাগা নিয়ে দুঃচিন্তা করি—কিন্তু এই অভ্যাস আপনার জন্য ভালও হতে পারে। বিজ্ঞান ও ইতিহাস থেকে পাওয়া বিবিধ তথ্য প্রমাণ থেকে এই সিদ্ধান্তে আসা যায় আট ঘন্টার ঘুম আবাশ্যক নয়; এটি একটি আরোপিত নিয়ম। মিথ।


TBS Bangla, অনলাইন  


১৬ জানুয়ারী, ২০২১ 

 


কিছু সময়ের জন্য, এই কোয়ারেন্টাইনটি সবার জন্যই বেশ আমোদপূর্ণ ছিল। দিনের বেলায় হেমিংওয়ে তার বেস্টসেলার হতে যাওয়া বই “দ্যা সান অলসো রাইসেস” এর সম্পাদনার কাজ করতেন। আর মদের খালি বোতলগুলোকে উলটো করে কাটা মুন্ডুর মত বেড়ার উপর বসানো হতো।

২ জানুয়ারী, ২০২১


২০২০





 ১। "এখন আরো বেশী কল্পকাহিনী পড়ুন"- জোসেফ স্টিগলিজ এর সাক্ষাতকার

প্রথম আলো, অনলাইন

https://www.prothomalo.com/onnoalo/article/1651163/%E2%80%98%E0%A6%8F%E0%A6%96%E0%A6%A8-%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A6%93-%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A7%9C%E0%A7%81%E0%A6%A8%E2%80%99?fbclid=IwAR17Ki4xQ1n4f3Wc6w3lqaZLCyXXxAB3Atn1cTX8ffb-grgEkjNdSXcYxgg

১৬ এপ্রিল, ২০২০


২। "সবচেয়ে বড় বিপদ ভাইরাস নিজে নয়" - ইউভাল নোয়া হারারির সাক্ষাতকার
প্রথম আলো, অনলাইন

https://www.prothomalo.com/onnoalo/article/1653917/%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%9C-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%A6-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A7%9F?fbclid=IwAR0MX2GECcWRxACKMxNQaiwv1mbRR107nTrUAbUjTCNjIufKtFcyqCSSRdQ

৩০ এপ্রিল, ২০২০

প্রথম আলো, অনলাইন


২০ মে, ২০২০

TBS Bangla, অনলাইন 



৪ জুলাই, ২০২০

TBS Bangla, অনলাইন 


৪ জুলাই, ২০২০

TBS Bangla, অনলাইন 


১০ জুলাই, ২০২০

TBS Bangla, অনলাইন 


২৫ জুলাই, ২০২০ 

TBS Bangla, অনলাইন 


TBS Bangla, অনলাইন 


TBS Bangla, অনলাইন 


১০ই অক্টোবর, ২০২০ 

TBS Bangla, অনলাইন 


১৭ই অক্টোবর, ২০২০

দৈনিক কালের কন্ঠ, অনলাইন এবং অফলাইন 

৮ই নভেম্বর, ২০২০ 



দৈনিক কালের কন্ঠ, অনলাইন এবং অফলাইন 


১৫ই নভেম্বর, ২০২০ 


দৈনিক কালের কন্ঠ, অনলাইন এবং অফলাইন 




৬ই ডিসেম্বর, ২০২০ 

দৈনিক কালের কন্ঠ, অনলাইন এবং অফলাইন 





১৩ই ডিসেম্বর, ২০২০ 

The Daily Star Bangla, অনলাইন


১৪ই ডিসেম্বর , ২০২০