Saturday, August 15, 2020

A Review of "Sapiens: A Brief History of Humankind

Sapiens: A Brief History of HumankindSapiens: A Brief History of Humankind by Yuval Noah Harari
My rating: 5 of 5 stars

I came to know about Mr. Yuval Noah Harari when I was asked to translate one of his interviews that was published in New York Times. The main focus of that interview was his views on dealing with Covid 19 pandemic, and how the biggest danger is not the virus itself, rather how governments are exploiting the situation to increase draconian surveillance on the citizens of a nations. If someone is interested to read it, here's a link:

https://tinyurl.com/y2txh4vt (Published in Prothom Alo online)

Anyway, working on Mr. Yuval intrigued me, and I decided to get hold of his most famous book, "Sapiens: A Brief History of Humankind". I had no idea about the book's subject matter, but I assumed from the title that it is about world history, and how we came to the 21st century from the era of ape-men.

However, I was in for a glorious surprise. The first quarter of the book went really smooth. I came to know about many new perspectives on how human beings turned in to foragers, explorers, hunters, and eventually, farmers.

Some of the rather shocking revelations came in the form of vilifying human beings. The author blamed prehistoric humans for killing off other kinds of humans (Neanderthals) and also many species of plants and animals, just because homo sapiens didn't need them.

Here it is relevant to mention that the author is a hardcore atheist. I didn't know it before starting the book, and even if I knew, it would not bother me, but half way down the book, his beliefs became a problem for me; a person who believes in God and follows religion. I checked with a few other readers, and they also felt the issue.

From henceforth, Mr. Harari keeps criticizing and mocking religion in almost every page. Some of it can be taken as good humor, but most of it is borderline objectionable. Due to this tonality, even some of his important facts and findings became hard to grasp.

But this goes away again after another few chapters, and the books ends with a hopeful tone.

Despite of it's wavering tone, I still enjoyed reading the book, and it gave me a lot to think about. I look forward to reading more books authored by him.

View all my reviews

Friday, August 07, 2020

Excerpt from Sapiens

"তারা কাপড়ের মাকেই জড়িয়ে ধরে রাখতো; এমনকি মুখ বাড়িয়ে ধাতব মায়ের থেকে দুধ পান করার সময়েও তারা কাপড়ের মাকে ছাড়তো না"



[ইউভাল নোয়াহ হারারির বিখ্যাত গ্রন্থ “স্যাপিয়েন্সঃ আ ব্রিফ হিস্টোরি অব হিউম্যানকাইন্ড” এর একটি অনুচ্ছেদ অবলম্বনে। সবাইকে একটু “ফুড ফর থট” প্রদান করার উদ্দেশ্যে অনূদিত ও পরিমার্জিত; কারণ আমিও এটি পড়ে চিন্তার খোরাক পেয়েছি]

গত ২০০ বছরে কৃষিকাজের খুটিনাটিগুলো বাণিজ্যিক উৎপাদন পদ্ধতির ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। ট্রাক্টরের মত বড় বড় যন্ত্রগুলো এমন সব কাজ করা শুরু করেছে যা আগে মানব পেশীশক্তির ওপর নির্ভরশীল ছিল, কিংবা অকল্পনীয় ছিল। কৃত্তিম সার, বাণিজ্যিক কীটনাশক, হরমোন ও বিবিধ উপকারী ঔষধের সমন্বিত প্রয়োগের কারণে জমি এবং প্রাণীসমূহ আরো অনেক বেশি উৎপাদনশীল হয়ে গিয়েছে । রেফ্রিজারেটর, জাহাজ এবং উড়োজাহাজের কল্যাণে উৎপাদিত খাদ্যশস্যকে মাসের পর মাস ধরে সংরক্ষণ করা যাচ্ছে, এবং চাইলেই তা খুব দ্রুত এবং কম খরচে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পাঠানো যাচ্ছে। ইউরোপীয়রা এখন আর্জেন্টিনার গরুর মাংস এবং জাপানী সুশী সহযোগে রাতের খাবার খেতে পারছে অনায়াসে।


এই বাণিজ্যিক উৎপাদন পদ্ধতির শিকার হয়ে গাছপালা এবং প্রাণীরাও যান্ত্রিক আচরণের শিকার হচ্ছে। যেদিন থেকে মানব জাতি নিজেদেরকে পূজনীয় ভাবা শুরু করেছে, সেদিন থেকে খামারের পশুরা জীবিত এবং সংবেদনশীল প্রাণী হিসেবে তাদের অবস্থান হারিয়েছে; তাদেরকে এখন যন্ত্র হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। আজকের দিনে এসব প্রাণীদেরকে কারখানায় উৎপাদনের মত করে গণহারে প্রজনন ঘটিয়ে বংশবিস্তার করানো হয়, আর বাণিজ্যিক প্রয়োজন অনুযায়ী তাদের শারীরিক আকৃতি নির্ধারণ করা হয়।


তাদের সমগ্র জীবন কেটে যায় জন ফোর্ডের এসেম্বলি লাইনের ঘুর্ণায়মান খাঁজকাটা চাকার মত, এবং তাদের জীবনকাল এবং অস্তিত্বের গুণগত মান ওঠা নামা করে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের লাভ লোকসানের সাথে তাল মিলিয়ে। এমনকি যখন সেই প্রতিষ্ঠানগুলো তাদেররকে জীবিত রাখায় সচেষ্ট থাকে, তখনও তারা সেই প্রাণীগুলোর সামাজিক এবং মানসিক প্রয়োজনগুলো নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তা করে না (যদি না এসকল বিষয়গুলো উৎপাদনের উপর কোন সরাসরি প্রভাব বিস্তার করে)।


উদাহরণ স্বরুপ বলা যায় যে, ডিম-পাড়া মুরগীদের জীবনে খুব জটিল ধরণের আচরণগত চাহিদা এবং অণুপ্রেরণাদায়ী শক্তির উপস্থিতি রয়েছে। তারা তীব্র ভাবে কামনা করে এমন একটি পরিবেশ, যেখানে তারা ভাল করে ঘুরে দেখতে, খাবারের খোজ করতে, মাটি ঠুকরে বেড়াতে, সামাজিক শ্রেণীবিভাজনের রুপরেখা অনুধাবন করতে, বাসা বানাতে এবং নিজেদের যত্ন নিতে পারবে।


কিন্তু দুঃখজনকভাবে, ডিমের ফার্মের মালিকরা মুরগীদেরকে ছোট ছোট খুপড়ির ভেতর আটকে রাখে। অনেক সময় একই খাচায় উর্ধ্বে চারটি মুরগীকেও রাখা হয়, যার ফলে প্রতিটি মুরগী ২৫ বাই ২২ সেন্টিমিটারের একটি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জায়গা বরাদ্দ পায়। মুরগীদেরকে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য দেয়া হয়, কিন্ত তারা নিজস্ব জায়গা দখল করতে পারে না, এবং বাসা বানানো কিংবা অন্য কোন ধরণের স্বভাবগত আচরণ প্রদর্শন করার সুযোগ পায় না। খাঁচাগুলো এতই ছোট থাকে যে অনেক সময় তারা ঠিকমত ডানা ঝাঁপটাতে কিংবা মাথা উঁচু করেও দাঁড়াতে পারে না।


আটলান্টিক অঞ্চলের দাস ব্যবসা যেমন আফ্রিকানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা থেকে তৈরি হয়নি, সেরকম আধুনিক পোল্ট্রি কিংবা ডেয়ারী শিল্পও প্রাণীদের প্রতি সহিংসতা থেকে জন্ম নেয়নি। এটি মূলত উদাসিনতা প্রসূত। বেশিরভাগ মানুষ যারা ডিম, দুধ এবং মাংস উৎপাদনের সাথে জড়িত, তারা প্রায় কখনোই মুরগী, গরু কিংবা ছাগলের মন্দভাগ্য নিয়ে ভাবে না, যাদের দেহাবশেষ তারা বিক্রী ও ভক্ষন করছে। যারা চিন্তা করে, তারাও যুক্তি দেয় যে এসকল প্রাণী যন্ত্র থেকে খুব একটা ভিন্ন নয়; তাদের নেই কোন ইন্দ্রিয়শক্তি কিংবা আবেগ, এবং তাদের দুঃখবোধ করার সক্ষমতাও নেই। মজার ব্যাপার হলো, যে বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব থেকে আমরা দুগ্ধ ও ডিম উৎপাদনের কার্যকর যন্ত্র তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি, সেই একই ধারার বিজ্ঞান থেকেই আমরা জানতে পেরেছি যে স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং পাখিদের রয়েছে জটিল সংবেদনশীলতা এবং আবেগ। তারা শুধু শারীরিক ব্যথা বেদনাই অনুভব করে না, বড়ং তাদেরও রয়েছে সংবেদনশীল অনুভূতি।


বিবর্তণমূলক মনোবিজ্ঞান বলছে যে খামারের পশুদের আবেগমূলক এবং সামাজিক চাহিদাগুলো বিকশিত হয়েছে প্রাকৃতিক পরিবেশে; বন জঙ্গলে, যখন সেগুলো তাদের বেঁচে থাকা এবং বংশবিস্তারের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ছিল। উদাহরণস্বরুপ, একটি বন্য বাছুরকে অন্যান্য গরু ও গাভীদের সাথে নিবিড় সম্পর্ক তৈরি করতে হোত, তার বেঁচে থাকার তাগিদে, এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা ভেবে। প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনের জন্য বাছুরদের মাঝে কিছু সহজাত প্রবৃত্তি চলে এসেছে বিবর্তনের হাত ধরে--খেলাধুলার মাধ্যমে সামাজিক ব্যবহার শিখে নেয়ার সুতীব্র তাড়না, এবং তারচেয়ে বড় তাড়না তার মায়ের সাথে বন্ধন তৈরি করার, কেননা মায়ের দুগ্ধ এবং যত্ন তার বেঁচে থাকার জন্য অত্যাবশ্যক উপাদান।


এই প্রসঙ্গে ধরে নেই একজন চাষী একটি শিশু বাছুরকে তার মায়ের কাছ থেকে সরিয়ে নিয়ে খাচায় বন্দী করে রাখলো। কৃষক তাকে যথেষ্ঠ পরিমাণে খাদ্য ও পানীয় প্রদান করলো, সকল রোগশোকের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য যথোপযুক্ত টিকা এবং ঔষধপত্রের ব্যবস্থা করলো, এবং যখন সে উপযুক্তে বয়সে পৌছালো, তখন তাকে ইঞ্জেকশানের মাধ্যমে (একটি গরুর শুক্রাণূ ব্যবহার করে) অন্তঃস্বত্তা করে তুললো। সাদা চোখে দেখলে মনে হবে যে এই বাছুরটির ভালভাবে বেঁচে থাকার জন্য মায়ের ভালবাসা ও খেলার সাথীদের প্রয়োজন নেই। কিন্তু ভাল করে পর্যবেক্ষন করলে দেখা যাবে যে বাছুরটির মাঝে তার মায়ের সাথে সময় কাটানোর এবং অন্যান্য বাছুরদের সাথে খেলাধুলা করার সুতীব্র বাসনা সুপ্তাবস্থায় রয়েছে। এসকল চাহিদা পূরণ না হলে সে বড় ধরণের দূর্ভোগের শিকার হয়। এটাই বিবর্তনীয় মনস্তত্ত্বের প্রাথমিক শিক্ষা; জঙ্গলে থাকা অবস্থায় শেখা চাহিদাগুলো প্রাণীদের মাঝে থেকেই যায়, বেঁচে থাকা কিংবা বংশবিস্তারের জন্য সেগুলো অত্যাবশ্যকীয় না হলেও। বাণিজ্যিক কৃষিকাজের বড় সমস্যা হল যে এর ফলাফল হিসেবে প্রাণীদের বাহ্যিক চাহিদাগুলো পূরণ করা হয় সুচারূভাবে, কিন্তু তাদের ভেতরে থাকা মনস্তাত্ত্বিক চাহিদাগুলোকে একেবারেই উপেক্ষা করা হয় বেশি উৎপাদনের খাতিরে।


উপরোল্লিখিত রুঢ় সত্যগুলোর ব্যাপারে ১৯৫০ সাল থেকেই আমরা জ্ঞাত আছি। সেসময় মার্কিন মনস্তত্ত্ববিদ হ্যারি হারলো বানরদের ক্রমবিকাশ নিয়ে কিছু পরীক্ষা নীরিক্ষা করেন। হারলো কিছু শিশু বানরকে ঐ বাছুরটির মত আলাদা করে ফেলেন, এবং খাচায় আটকে রাখেন। তিনি তাদেরকে “পুতুল মা” এর সাহায্যে বড় করেন। প্রতিটি খাচায়, হারলো দু’টি করে পুতুল-মা সাজিয়ে রাখেন। একটি পুতুল বানানো হয়েছিল ধাতব তার দিয়ে, যেটির মাঝে সংযুক্ত করা ছিল দুধের বোতল, যার থেকে শিশু বানর চুষে চুষে পান করতে পারতো।


আরেকটি কাঠের তৈরি পুতুল রাখা থাকতো খাচায়, যেটি কাপড় দিয়ে আবৃত থাকতো। বেষভুষা এবং আদলের কারণে এটীকে আসল বানর-মা হিসেবে চালিয়ে দেয়া যেত। কিন্তু এই পুতুল মা শিশু বানরদের জন্য কোন খাদ্য উপাদান প্রদান করতো না। ধারণা করা হয়েছিল যে বানর-শিশুগুলো তাদেরকে পুষ্টি প্রদান করা ধাতব মায়ের সাথেই বেশি সময় কাটাবে; কাপড়ের তৈরি অকর্মণ্য মায়ের থেকে দূরে থেকে।


কিন্তু হারলোকে অবাক করে দিয়ে শিশু বানরগুলো পরিষ্কারভাবে কাপড়ের তৈরি মা-বানরের প্রতি তাদের অনুরক্ততা প্রকাশ করতে লাগলো; তার সাথেই বেশিরভাগ সময় কাটিয়ে। যখন দু’টি নকল মা কে কাছাকাছি রাখা হোত খাচার ভেতর, তখন তারা কাপড়ের মাকেই জড়িয়ে ধরে রাখতো; এমনকি মুখ বাড়িয়ে ধাতব মায়ের থেকে দুধ পান করার সময়েও তারা কাপড়ের মাকে ছাড়তো না। হারলো প্রথমে মনে করলেন যে শিশু বানরগুলো ঠান্ডা অনুভব করার জন্য কাপড়ের মায়ের কাছে যাচ্ছে বারবার। তাই তিনি ধাতব তারের তৈরি মা বানরের ভেতর একটি ইলেক্ট্রিক বাল্ব জুড়ে দিলেন, যার থেকে তাপ উদগীরণ হতে থাকলো। একেবারে সদ্যজাত কিছু শিশু ছাড়া বেশিরভাগ বানর তবুও কাপড়ের বানর-মায়ের সাথেই বেশি সময় কাটাতে লাগলো।


পরবর্তী গবেষণায় দেখা যায় যে হারলোর অনাথ শিশু বানরগুলো বড় হয়ে মানসিক বৈকল্যের শিকার হয়; বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সকল ধরণের পুষ্টি পাওয়া স্বত্ত্বেও। তারা কখনো বানর সমাজে নিজেদেরকে মানিয়ে নিতে পারেনি, এবং তারা অন্যান্য বানরদের সাথে যোগাযোগস্থাপন করতে বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হয়।

এছাড়াও তারা উচ্চ পর্যায়ের দুঃচিন্তায় আক্রান্ত হয় এবং অতিরিক্ত আক্রমণাত্নক স্বভাবের হয়ে যায়। এসব তথ্য থেকে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয় যে বানরদেরও মনস্তাত্ত্বিক চাহিদা রয়েছে, যা তাদের শারীরিক ও বাহ্যিক চাহিদা থেকে বেশ ভিন্ন। এই চাহিদাগুলো পূরণ না হলে তাদের বেড়ে ওঠা ঠিকমত হয় না, এবং তারা চরম দুর্দশায় পর্যবসিত হয়। হারলোর অনাথ শিশু বানর কাপড়ের মাকে আকড়ে ধরে বেশি সময় বেশি কাটিয়েছে কারণ সে শুধু দুধ নয়, বড়ং একটি আবেগনির্ভর বন্ধন খুজছিল তার সেই নকল মায়ের কাছে। পরবর্তী দশকগুলোতে অসংখ্য গবেষণা থেকে একই সিদ্ধান্তে উপনিত হওয়া যায় যে এই ব্যাপারটা শুধু বানরদের ক্ষেত্রেই নয়, বড়ং সব ধরণের স্তন্যপায়ী প্রাণী, এবং পাখিদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।


এই মুহুর্তে, লাখ লাখ গবাদী পশু হারলোর শিশু বানরের মত অমানবিক পরিবেশে বেঁচে আছে; কারণ তাদের মালিকরা নিয়মিত শিশুদেরকে তাদের মায়ের কাছ থেকে আলাদা করে “নিয়ন্ত্রিত” পরিবেশে বড় করছেন।

Sunday, August 02, 2020

সৌদি আরবে ভাইরাস মহামারীর মাঝে একটি খুবই ব্যতিক্রমধর্মী হাজ্জ্ব

সৌদি আরবে ভাইরাস মহামারীর মাঝে একটি খুবই ব্যতিক্রমধর্মী হাজ্জ্ব


মুজদালিফা থেকে আরাফাতের ময়দানের দিকে যাচ্ছেন হাজীরা 


মুসলমান হজ্জ্বযাত্রীরা দীর্ঘদিন আইসোলেশানে থেকে, মুখে মাস্ক পরে, ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে তাদের জন্য পবিত্রতম স্থান মক্কায় এসে পৌছান গত বুধবারে এক ঐতিহাসিক, সীমিত আকারের হাজ্জ্বে অংশ নেয়ার জন্য, যা করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে ভিন্ন আকার ধারণ করেছে।


হাজ্জ্ব হচ্ছে ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি মূল ভিত্তির মাঝে অন্যতম, যা সামর্থ্যবান সবাইকে জীবনে অন্তত একবার পালন করতে হয়। হাজ্জ্বযাত্রীরা এমন একটি পথ অনুসরণ করেন, যে পথটি মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) প্রায় ১,৪০০ বছর আগে হেঁটে পার হয়েছেন, এবং যা একইসাথে নবী হজরত ইব্রাহীম (আঃ) এবং হজরত ঈসমাইল (আঃ) এর পদক্ষেপকেও অনুসরণ করে।


হাজ্জ্ব মানুষের শারীরিক ও আত্মিক সক্ষমতার পরীক্ষা নেয়। হাজ্জ্বের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে মুসলমানদেরকে বিনয়ী ও নিরহংকার করে তোলা, এবং সাথে মুসলিম ভ্রাতৃত্ববোধকে আরও সুসংহত করা।


অন্যান্য বছরের মত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আগত মানুষের জনসমুদ্রে, কাধে কাধ মিলিয়ে নামাজ না পড়ে হাজ্জ্বে অংশগ্রহণকারীরা এবার সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে হাজ্জ্ব পালন করেছে—তারা দূরে দূরে দাড়িয়েছে, আর বিশ জনের ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে চলাফেরা করেছে যাতে ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা কমে যায়।


হাজ্জ্ব এমন একটি যাত্রা যা মুসলমানরা সাধারণত তাদের আত্মীয়দের সাথে মিলে সম্পন্ন করে। পূর্ববর্তী বছরগুলোতে খুবই সাধারণ একটি চিত্র ছিল এটি যে লোকজন তাদের বয়স্ক পিতা-মাতার হুইলচেয়ার ঠেলে ঠেলে তাদেরকে হজ্জ সম্পন্ন করায় সহায়তা করছে, অথবা পিতা মাতা তাদের বাচ্চাদের পিঠে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এ যেন আড়াই মিলিয়ন শিয়া, সুন্নী এবং অন্যান্য ছোট বড় মুসলিম গোষ্ঠীদের এক অনন্য সংহতি। এক সাথে নামাজ পড়া, খাওয়া এবং সৃষ্টিকর্তার দরবারে দুই হাত তুলে পূর্বে করা সকল পাপ কাজের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা—এসব কিছুই দীর্ঘদিন ধরে হাজ্জ্বের অত্যাবশ্যকীয় অংশ হিসেবেই বিবেচিত, যার কারণে হাজ্বকে প্রায় সবাই অনবদ্য এবং জীবন সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তনমূলক একটি অভিজ্ঞতা হিসেবে বর্ণনা করে থাকেন।


কিন্তু এ বছর হাজীদেরকে তাদের হোটেলরুমে বসে আগে থেকে প্যাকেট করা খাবার খেতে হচ্ছে, আর একজন আরেকজনের থেকে বেশ খানিকটা দূরত্ব বজায় নামাজ পড়ছে। সৌদি সরকার এ বছর সকল হাজীদের খাওয়াদাওয়া, যাতায়াত, বাসস্থান এবং স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত খরচ বহন করছে।


যদিও এবারের অভিজ্ঞতাটি সম্পূর্ণ ভিন্ন, তবুও এটি হাজীদের জন্য আগের সকল পাপকে ধুয়ে মুছে ফেলার এবং নিজেদের বিশ্বাসকে আরো শক্ত করে তোলার একটি বড় সুযোগ হিসেবেই বিবেচিত হয়েছে।


আম্মার খালেদ, একজন ২৯ বছর বয়সী ভারতীয় হাজী, যার জন্ম ও বেড়ে ওঠা সৌদি আরবে, বলেছেন যে “যদিও আমি একাই এসেছি হাজ্ব্ব করতে, তাও আমি আমার নিকটজনদের জন্য দোয়া করছি”। তিনি আরও বলেন “আমি নিজেকে অশেষ সৌভাগ্যবান মনে করছি। তারা সকল ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অবলম্বন করেছে, এবং আমরা খুবই সুসংহতভাবে হাজ্জ্ব পালন করতে পারছি”।


ইতিহাসে প্রথমবারের মত, সৌদি সরকার এবার বিদেশ থেকে কাউকে হাজ্জ্ব করার জন্য তাদের দেশের আসার অনুমতি দেয়নি করোনা ভাইরাস এর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার আশংকায়।

তার পরিবর্তে, শুধুমাত্র সৌদি আরবে বসবাসরত ১,০০০ মানুষ কে নির্বাচণ করা হয়েছে হাজ্জ্বে অংশ নেয়ার জন্য, যাদের দুই তৃতীয়াংশ বিদেশী, এবং তারাই প্রতি বছর ১৬০টি ভিন্ন ভিন্ন দেশ থেকে আগত হাজ্জ্ব প্রত্যাশিদের প্রতিনিধি হিসেবে এবার হাজ্জ্ব করার সুযোগ পাচ্ছেন । বাকি এক তৃতীয়াংশ মানুষ সৌদী নিরাপত্তা কর্মী এবং মেডিক্যাল স্টাফ। এই এক হাজার মানুষের প্রত্যেকেই সৌদি আরবে থাকছেন দীর্ঘদিন ধরে।


হজ্জ প্রত্যাশীদের বলা হয়েছিল একটি অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন করার জন্য। পুর্বশর্ত ছিল যে তাদের বয়স হতে হবে বিশ থেকে পঞ্চাশের মাঝে, তাদের কোন দূরারোগ্য ব্যাধি থাকতে পারবে না কিংবা তাদের মাঝে করোনা ভাইরাসের কোন লক্ষণও থাকতে পারবে না। যারা পুর্বে হজ্জ করেনি, তাদেরকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে নির্বাচণের সময়।


হাজীদের করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করা হয়, এবং তাদেরকে একটি করে রিস্টব্যান্ড দেয়া হয়েছিল, যা তাদের ফোনের সাথে সংযুক্ত থেকে তাদের চলাফেরার উপর নজর রেখেছে। তাদেরকে বাসায় এবং মক্কার হোটেল রুমগুলোতে কোয়ারেন্টাইন অবস্থায় থাকতে হয়েছে বুধবারে হজ্জ শুরু হবার আগ পর্যন্ত। রবিবারে হজ্জ সমাপ্ত হবার পরেও তাদেরকে এক সপ্তাহ কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।

মক্কা কে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল হজ্জের আগে দিয়ে, এবং বছরজুড়ে সম্পাদিত ছোট ছোট উমরা-যাত্রা গুলো এই বছরের শুরুতেই বন্ধ করে করে দেয়া হয়েছিল। যারা তখন উমরা করার উদ্দেশ্যে মক্কায় এসেছিলেন, তাদেরকে দ্রুত তাদের নিজ নিজ দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বিমানযোগে।


২০২০ সালের আগ পর্যন্ত হাজ্জ্ব বলতে এই ধাপগুলো সম্পন্ন করাকেই বোঝানো হোত 


মক্কা থেকে এ বছরের হজ্জকে কভার করার জন্য কোন আন্তর্জাতিক মিডিয়াকে অনুমতি দেয়া হয়নি। তার পরিবর্তে, সৌদি সরকার মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদ থেকে বুধবারে লাইভ কভারেজ প্রদান করেছে, যেখানে স্বল্প পরিমাণ হাজীদের দেখা যায় বেশ কয়েক ফুট দূরে দূরে থেকে কাবা শরীফ কে প্রদক্ষিণ করতে।

কাবা শরীফ আল্লাহর ঘর হিসেবে উল্লিখিত, এবং এটি ইসলামের একেশ্বরবাদের প্রমাণস্বরূপ। সারা বিশ্বের মানুষ কাবা শরীফের দিকে মুখ করে তাদের দৈনিক নামাজ আদায় করে থাকেন।

হাজ্জ্বের সময় মহিলারা সকল ধরণের প্রসাধনী ও সুগন্ধী পরিহার করে, মাথায় কাপড় দেয় এবং ঢিলেঢালা পোষাক পরিধান করে, আত্ম-অন্বেষনের উদ্দেশ্যে। সকল পুরুষগণ সেলাইবিহীন সাদা পোষাক পরিধান করে, যা ধনী গরীবের মাঝে পার্থক্য ঘুচিয়ে দেয় এবং “সকল মুসলমান এক”—ইসলামের এই মূলনীতিকে সুন্দর করে প্রকাশ করে।


হাজ্জ্বের প্রথম রীতি হিসেবে মুসলমানগণ কাবা শরীফকে ঘড়ির কাটার উল্টোদিকে হেঁটে সাতবার প্রদক্ষিণ করেন দোয়া পড়তে পড়তে, আর তারপর দু’টি পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে হেঁটে যান, যেখানে হজরত ইবরাহিম (আঃ) এর স্ত্রী হাজেরা তার মৃত্যুপথযাত্রী পুত্রের জন্য পানির খোঁজে দৌড়েছিলেন। আল্লাহ তখন শিশুটির জীবন বাঁচানোর জন্য জমজম কূপ বানিয়ে দেন সেখানে, যেটি এখনো রয়েছে।

এ বছর, হাজীগণ শুধু প্লাস্টিকের বোতলে সংরক্ষণ করা জমজম কূপের পানি খাওয়ার সুযোগ পাবেন। শয়তানের গায়ে নিক্ষেপ করার জন্য হাজীদেরকের পাথরের টুকরো কুড়াতে হয়, কিন্তু এবার তার পরিবর্তে হাজীদেরকে ব্যাগভর্তি “জীবাণুমুক্ত” পাথর দেয়া হয়েছে আগেভাগে।


হাজীদেরকে তাদের নিজ নিজ জায়নামাজ দেয়া হয়েছে, এবং পরিধানের জন্য বিশেষ সিলভার ন্যানো প্রযুক্তি সমৃদ্ধ পোষাক দেয়া হয়েছে, যা সৌদী কতৃপক্ষের ভাষ্যমতে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সক্ষম, এবং তা একই সাথে পানি নিরোধী। তাদেরকে আরো দেয়া হয়েছে প্রখর রোদের হাত থেকে বাচার জন্য ছাতা, গামছা, সাবান, স্যানিটাইজার এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি। এছাড়াও, বিভিন্ন ভাষায় অনলাইন সেশানের আয়োজন করা হয়েছে তাদের জন্য, যেখানে হাজ্জ্বের বিভিন্ন খুটিনাটি ব্যাপারগুলো সহজ ভাবে ব্যাখা করা হয়েছে।


প্রতি বছর কাবা শরীফে পচিশ লাখ মুসলমানের সমাগম ঘটতো হাজ্জ্বের উদ্দেশ্যে


“সৌদি আরবের উচিত হবে এসকল প্রতিরোধক ব্যবস্থার সুচারূভাবে প্রচলন করা যাতে আমরা অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিতে পারি”, বলেছেন সৌদি সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তা ডাঃ হানান বালখি ।


হানান আরো বলেন যে “সৌদি রাজতন্ত্র এবং পুরো বিশ্ব একত্রে শিখতে পারবে কিভাবে করোনার মত ছোয়াচে রোগের সংক্রমণকে হাজ্জ্বের মত বড় আকারের মানবসমাবেশের সময় নিয়ন্ত্রণের মাঝে রাখা যায়”। হানান WHO এর জেনেভায় অবস্থিত প্রধাণ শাখায় এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেসিস্টেন্স ডিভিশানের এসিসটেন্ট ডিরেক্টর জেনারেল হিসেবে হাজ্জ্ব মিশনের সাথে কাজ করছেন দীর্ঘদিন ধরে।


(ইন্টার্নেটে প্রাপ্ত তথ্য অবলম্বনে)

Saturday, August 01, 2020

How is Quaid-e-Azam Muhammad Ali Jinnah remembered in Bangladesh?

There was a question in quora.com that asked "How is Quaid-e-Azam Muhammad Ali Jinnah remembered in Bangladesh?". This is how I answered it:

More people remembers his name because of his controversial statements given during the Bengali Language Movement of 1952.

And as for his "so called" liberator role, I really don't think he played a well enough role during the division of 1947. He was part of the team that negotiated and agreed on the borders of the two nations, India and Pakistan. Till date, he remains the only "great" leader to agree to such a weird arrangement.

He agreed to have an Islamic state named "Pakistan", which has two wings--East and West.

However, the eastern and western wing was marooned by the "great India" which decided to sit comfortably between these two wings.

The only logic behind this weird demarcation was having a common religion. Apart from that, nothing else was common between the citizens of Pakistan and Bangladesh (former East Pakistan).

What followed afterwards was a bloody, treacherous and confused 24 years of being Pakistan (read oppressing East Pakistan by all means). Finally, Bangladesh gained independence in 1971, and hereby ending a bloody saga that was planted by Mr. Jinnah back in 1947.

For all these reasons, no one in Bangladesh considers Jinnah as a hero. He is known as the failed architect who gave birth to a dysfunctional country, and created even further chaos by trying to enforce a single language throughout the region which more than 50% of the population didn't even know.

There's not a single, good evidence that suggests he was a great leader for the entire region. He could appreciate and accept the cultural and geographical differences between the two wings, but instead, he tried imposing his own region's nuances on to us.

Also, liberator of the Muslims is a very ill crafted title. The British empire was leaving the Indian Sub Continent only because,

a) They suffered heavy casualties during the WWII and didn't have enough resources to govern India anymore, and
b) The world had changed so much that it was just no longer feasible to continue with colonial rulings.

So, the South Asian Muslims were going to be liberated any way and before leaving, the British, along with a not so prudent team left the people of this area with the mess called "Pakistan", and I consider Jinnah to be one of culprits behind the misery of my countrymen.


Read the original post in quora:

https://www.quora.com/How-is-Quaid-e-Azam-Muhammad-Ali-Jinnah-remembered-in-Bangladesh/answer/%E0%A6%87%E0%A6%B6%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%95-%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%A8-Ishtiaque-Khan