Tuesday, January 24, 2017

খাদ্য কাহিনী ১

খাদ্য কাহিনী ১
আমাকে যারা ব্যক্তিগত ভাবে চিনে তারা জানে আমি খাওয়া দাওয়া কত ভালবাসি। না চিনলেও একবার দেখলেই আমার বিশাল বপু সেই তথ্যটি ফাঁস করে দেয়।

তা যাই হোক, বিভিন্ন জায়গায় খেতে গিয়ে বিবিধ অভিজ্ঞতা হয়, ভাবলাম সেগুলো লিখে রাখি।
আজকে সেরকমই একটি কাহিনী বলছিঃ

খিলগাঁও তে হথাত করেই ব্যাং এর ছাতার মত অনেকগলো রেস্টুরেন্ট খুল্লো। প্রথমে ছিল শুধু আপন ক্যাফে আর এপেলিয়ানো।

এরপর খুল্লো "শর্মা কিং" নামের একটি দোকান। সেখানে নাকি শর্মা , পিজ্জা, এবং অন্যান্য ইতালীয় খাবার সুলভ মূল্যে পাওয়া যাবে। ওই দালানের সবগুলো ফ্লোরেই খাবারের দোকান।

যাই হোক, আমি আর আমার বউ একদিন গেলাম ওখানে; চিন্তা হচ্ছে বাসার সবার জন্য শর্মা কিনে নিয়ে যাবূ।
সুদৃশ্য মেনু থেকে আইটেম পছন্দ করে অর্ডার দিলাম। ওয়েটার বল্লেন ১৫ মিনিট লাগবে।

ইতিমদ্ধে আরেকটি পরিবার এসে বসলো আমাদের পেছনে। তারাও রকমারি খাবারের অর্ডার দিল।

এরপর শুরু হল দুঃসহ অপেক্ষা। ১০-১৫-২০ পেরিয়ে একসময় ঘড়ির কাঁটা ৪৫ মিনিট এ পৌছুল। ইতিমদ্ধে
ততক্ষনে ওয়েটার দের সাথে ২-৩ দফা বচসা হয়ে গেছে আমাদের, এবং পেছনে বসা ভদ্রলোকটি শুধু অশ্রাব্য গালি দিতে বাকি রেখেছেন।

আরো প্রায় ১০ মিনিট পরে দেখলাম হেলতে দুলতে জনৈক ওয়েটার আসছেন খাবার নিয়ে।

কিন্ত আমাকে আর আমার স্ত্রী কে হতভম্ব করে দিয়ে সেই খাবার গেল আমাদের থেকে কমপক্ষে ১৫ মিনিট পরে আসা সেই ভদ্রলোকের(!) টেবিলে।

ভাবলাম কোন ভুল হয়েছে! ডাকলাম ওয়েটার কে। জিজ্ঞাসা করলাম, "উনি আমাদের পরে এসেও আগে খাবার পেল কিভাবে?"

দু'গাল হেসে উনি নির্বিকার চিত্তে বললেন, "ভাই উনি বেশি চিল্লাপাল্লা করছিলেন তো, তাই উনাকে আগে দিয়েছি"
এই ঘটনা প্রায় ৩ বছর আগের।

এরপর অনেকবার বাইরে খেয়েছি, খিলগায়ের সেই বিল্ডিং এও গিয়েছি। কিন্ত অন্য দোকানে।
কিন্ত শর্মা কিং এর ছায়া ও মাড়াইনি আর!
#ইশতিয়াক
#খাদ্য কাহিনী

No comments: