Monday, October 17, 2016

No Romon Given

একটি ছেলে বিন সোলায়মান এর বাসায় কাজ করে। ছেলেটির বয়স কত আর হবে, ৮ কিংবা ১০। অনাথ শিশুটির কোনো নাম ছিল না; এক সদাশয় লাল সালু ভক্ত তাকে মজিদ নামে ডাকা শুরু করে—মানুষটি নেই কিন্তু নামটি রয়ে গিয়েছে।

তাকে সে তেমন টাকা পয়সা দেয় না, পেটে ভাতে রেখেছে। ছেলেটি এম্নিতে খুবই ভদ্র ধরনের, যা বলা হয় তাই করে। তারপরেও বিন সোলায়মান তাকে সুযোগ পেলেই বকে; পেনকেক থেকে সিরাপ খসলে চড় থাপ্পড় ও দিতে ছাড়ে না!

বন্ধু মহলে তার সুনাম আছে ডাকসাইটে দাবাড়ু হিসেবে। অনেকেই তার সাথে বাজী ধরে খেলে টাকা ও অহঙ্কার দুইটাই হারিয়েছে।
এহেন অবস্থায় একদিন বিন সোলায়মান এর শখ হল সে মজিদ কে দাবা খেলা শেখাবে।

প্রথম প্রথম অবধারিত ভাবে সে মজিদ কে গো-হারা হারাতো। হঠাত কোনদিন করো কাছে হেরে গেলে বিন সোলায়মান তার নিস্ফল আস্ফালন প্রকাশ করতো মজিদ কে হারিয়ে।
কিন্তু একদিন ঘটে গেল অবধারিত দুরঘটনা!

মজিদ, বিন সোলায়মান কে “চেক মেট” করে দিল।
লাথি পড়লো প্রথমে দাবার বোরড এ। তারপর মজিদ এর কোমরে।
সেদিন রাতে ১০২ জর নিয়ে ভেগে গেল মজিদ।

২০ বছর পর। বিন সোলায়মান এর পরিচয় হল এক বড়লোক ব্যঙ্কার এর সাথে। উনিও দাবা খেলেন। শুরু হল খেলা।

খেলতে বসে একের পর এক হার।

হঠাত খেয়াল করলো বিন সোলায়মান!
“আরে, তুই না আমার বাসায় কাজ করতি? তোকে না আমি দাবা শিখালাম? যা বেটা তোর সাথে হাত মিলাবো না আজ!”
হাহা করে হাসতে হাসতে বেরিয়ে গেল মজিদ; বিন সোলায়মান কে একটাও “রমণ” না দিয়ে।


No comments: