বেশ কিছুদিন ধরে ওয়ার্ল্ড হিস্টোরি নিয়ে কিঞ্চিৎ ঘাটাঘাটি করছি। সেখান থেকে নতুন করে আবারও জানতে পারলাম যে আগের দিনে শিকারী ও আহরণকারীদের দৌরাত্ম ছিল।
অর্থাৎ কিছু মানুষের জীবিকাই ছিল বনের পশুপাখি শিকার করে তাদের মাংস ও চামড়া ছাড়িয়ে সেটার ব্যবস্থা করা। শিকার করা পশুর মাংস, চামড়া এবং এবং অন্যান্য অঙ্গ বিভিন্ন কাজে লাগতো প্রাচীণ আমলের মানুষদের।
তবে এক পর্যায়ে শিকারীরা তাদের যাযাবর জীবন বাদ দিয়ে থিতু হয়, আর শুরু করে চাষবাশ। সেখান থেকেই মূলত সভ্যতা বলতে আমরা যা বুঝি, তার উৎপত্তি।
তবে আজও সেই শিকারীদের কিছু বংশধর রয়ে গিয়েছে আমাদের মাঝে।
চলতি ঘটনা যাই হোক, তাতে কিছু আসে যায় না। ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর হলেই হল।
তাদের কলম, থুরি, ফেসবুকের ওয়াল, জেগে উঠে "টিআরপি" শিকারের নেশায়। সে ভদ্রলোক হয়তো জীবনে দু'পাতা বায়োলজিও পড়েননি। তিনিও নেমে যান করোনা ভাইরাসের প্রতিকার নিয়ে লেখালেখিতে। আবার একজন ডাক্তার "অমুক বিল্ডিং ঠিকমত বানানো হয় নাই" টাইপ আলাপে রত হয়, ইত্যাদি ইত্যাদি।
আরেক গ্রুপ মানুষ আছে, যারা সব কিছুতে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পান। ইনারাও এরকম চলতি ইস্যু নিয়ে কিছু "আনকনভেনশনাল", বা কাঠখোট্টা বাংলায় বলতে গেলে "অজনপ্রিয়" অভিমত জানান।
তখন কিছু মানুষ তাদেরকে বেকুব গাধা বলে গালি দেয়, আবার কিছু মানুষ সহমত জানায়। আদতে সেরকম কোন ষড়যন্ত্রই শেষ পর্যন্ত আর কেউ প্রমাণ করতে পারে না, কিন্তু দুই পক্ষের গালি ও সহমতের কল্যাণে সে ভদ্রলোক/ভদ্রমহিলা এবং তার লেখা সবার আলোচনায় থাকে।
কিছু লাভ লাইকের মাধ্যমে নিজের ব্র্যান্ডিং করা ও টিআরপি বাড়ানো এই দুই গ্রুপের কাছেই নেশার মত। এরা নিজেদেরকে সংবরণ করতে পারে না আসলে।
উনারা আমাদের চারপাশেই আছেন :D
image credit:
http://www.archaeo3d.com/en/etnografie-a-archaicke-spolecnosti/lovci-a-sberaci/lovci-a-sberaci/
No comments:
Post a Comment