আমি জীবনের প্রথম আট বছর কাটিয়েছি বিদেশে। এরপর এক বছর কাটিয়েছি ইউনিভার্সিটি স্টাফ কোয়ার্টারে। তারপর থেকে খিলগাঁয়ে আছি। আমার খুব বেশি বন্ধু ছিল না। ক্লাস ফোরে ভর্তি হয়েছিলাম খিলগাঁও সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে। আসতে আসতে এক দু'জন করে করে কলেজ জীবনের শেষে ছয় জন খুব ভাল বন্ধু জুটেছিল আমার কপালে; সবাই আশে পাশেই থাকে--খিলগাও কিংবা রামপুরা।
বন্ধুদের মধ্যে একজন ছিল অনেক লম্বা; আমার চেয়েও ২-৩ ইঞ্চি লম্বা হবে। ওকে সবাই বিভিন্ন নিক নেইমে ডাকতো, তবে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছিল "লম্বু অমুক"। তো সেই লম্বু অমুক এর প্রিয় ব্যান্ড ছিল মাইলস। ঘটনাচক্রে, আমরা সবাই কম বেশি মাইলস এর গানগুলো পছন্দ করলেও লম্বু কে পচানোর সুযোগ কেউ ছাড়তো না।
ওকে খেপানোর কিছু কমন লাইন ছিল।
"আরে তোর পছন্দ তো দুই টাকলার ব্যান্ড। দেখবি এদের গান শুনতে শুনতে কোন দিন তোর ও মাথার চুল পড়ে যাবে"
"মাইলস এর গান শুনতে শুনতে পাইলস হয়ে গেল"
"পাইলস রুগী দের চিকিৎসার এক নাম্বার ঔষধ হইল গিয়া মাইলস এর চাঁদ তারা সূর্য্য"
আমার অতীব সেন্সিটিভ বন্ধুটি অসাধারণ প্রতিভাধর ছিল, কিন্তু তার কাছে এইসব পচানো লাইনের জন্য কোন কাম ব্যাক ছিল না। আমাদের পচানি খেতে খেতে একদিন বন্ধু পাড়ী জমালো বিদেশে; উচ্চ শিক্ষার্থে। দেশে আসে বছর দুই বছর পর, ১৫-২০ দিন থাকে, তাও ১-২ বারের বেশি দেখা হয় না।
ওর প্রিয় ব্যান্ড এর একটি গান আজকে সাহস করে গেয়ে ফেললাম।
আমি বাংলা গান গাওয়ার সাহস পাই না। অনেক কঠিন। আসলেও। লজ্জাজনক, কিন্তু ইহাই সত্য। তারপরেও প্রিয় ৯৬-৯৮ এর "কলিজা খাওয়া" বন্ধুদের অনুরোধ তো আর ফেলতে পারি না। জেমস চেষ্টা করসিলাম। গানের মাঝপথে কবি নজরুল এর "হাহাহা পায়রে হাসি" গাওয়া শুরু করাতে সেই প্রয়াস পন্ড হয়েছে।
গালি/সমালোচণ কে দুই হাত প্রসারিত করে গ্রহণ করা হবে। প্রশংসা কে নিয়ে হাস্যরস করা হবে। শুভ শুক্রবার।
পুনশ্চঃ "ট্যাগ এর আনন্দই বড় আনন্দ" - রবি ট্যাগোর
https://soundcloud.com/user-967850025/firiye-dao-miles-vover
গালি/সমালোচণ কে দুই হাত প্রসারিত করে গ্রহণ করা হবে। প্রশংসা কে নিয়ে হাস্যরস করা হবে। শুভ শুক্রবার।
পুনশ্চঃ "ট্যাগ এর আনন্দই বড় আনন্দ" - রবি ট্যাগোর
https://soundcloud.com/user-967850025/firiye-dao-miles-vover
No comments:
Post a Comment